আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লাদাখে প্রচণ্ড শীতের কারণে জ্বালানি নিয়ে বিপাকে রয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। কেননা, লাদাখের মত উঁচু জায়গায়, যেখানে শীতকালীন তাপমাত্রা খুবই কমে যায়, সেখানে সাধারণ জ্বালানিতে গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। তাই খুব তাড়াতাড়ি উইন্টার ডিজেল ব্যবহার শুরু করার কথা ভাবছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের বৃহত্তম তৈল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন এই উইন্টার ডিজেলের ব্যাপারে ডিরেক্টর জেনারেল অব কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্সের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি পাওয়া গেলে সশস্ত্র বাহিনী এই ডিজেল ব্যবহার করতে পারবে, যা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও কার্যকর থাকে।
উইন্টার ডিজেল কী?
বিশেষ করে লাদাখের মত উঁচু এবং কম তাপমাত্রার জায়গায়, যেখানে সাধারণ ডিজেল কাজে লাগে না, সেখানে ব্যবহারের জন্য গত বছর বিশেষ জ্বালানি উইন্টার ডিজেল প্রস্তুত করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেড।
সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান এসভি রামকমার বলেছেন, সাধারণ ডিজেলের কিছু বৈশিষ্ট্য কম তাপমাত্রায় পরিবর্তিত হয়ে যায়, ফলে গাড়ি চলে না। রামকুমার বলেছেন উইন্টার ডিজেলে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ইঞ্জিনের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য কার্যকর হবে।
রামকুমার আরও বলেন, উইন্টার ডিজেলের আগে কম তাপমাত্রার এলাকায় ডিজেলের ঘনত্ব কমানোর জন্য তাতে কেরোসিন ঢালা হত, যার জেরে বায়ুদূষণ বাড়ে।
সশস্ত্র বাহিনী কীভাবে কাজ চালাচ্ছে এই এলাকায়?
ইন্ডিয়ান ওয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম সশস্ত্র বাহিনীকে ডিজেল হাই সালফার পোর পয়েন্ট দিয়ে থাকে, যা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কার্যকর।
আরও পড়ুন : গালওয়ান নদীর তীরে নতুন রাস্তা, ১৯টি ক্যাম্প চীনের!
অনুমতি পেলে আইওসি সশস্ত্র বাহিনীকে উইন্টার ডিজেল সরবরাহ করা শুরু করতে পারে।
লাদাখে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার কারণেই কি এই ধরনের জ্বালানির চাহিদা বেড়েছে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত উত্তেজনার কারণে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষের পর এ ধরনের জ্বালানির চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে সেনার পক্ষ থেকে বাড়েনি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড