আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টানা কয়েকদিনের অতিভারী বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার অনেক উপরে ওঠে যাওয়ায় ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের উত্তরের সীমানা ঘেঁষা ভারতের রাজ্য আসামে। এতে ১০ লাখের বেশি মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রহ্মপুত্র নদ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম নদী, যা তিব্বত থেকে ভারত এবং তারপরে বাংলাদেশের বুক চিড়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ বৃষ্টিপাত বাড়ায় নদের তীরবর্তী দুই হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সোমবারও (২৯ জুন) সেখানে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের বন্যার বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে পৃথক ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। বন্যার কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে কমপক্ষে ২৩টি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নাগাদ বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকার আভাস রয়েছে।
আসামের জলসম্পদ মন্ত্রী কেশব মহন্ত বলেছেন, বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে বন্যার পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে গেছে।
চা বাগানের জন্য বিখ্যাত আসাম প্রতিবছর মৌসুমি বন্যার কবলে পড়ে, রাজ্য ও ফেডারেল সরকারকে লাখ লাখ টাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করতে বাধ্য করে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য এবং অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রাজ্যজুড়ে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আসামে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৪৯২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন এবং ১১ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : যুদ্ধ কি বাধছেই? কাশ্মীরে গ্যাস মজুদের নির্দেশ, খালি হচ্ছে স্কুল
এ দিকে আসামের বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হওয়া। ইতোমধ্যে দেশের অন্তত ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড