• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নতুন করে সংঘর্ষ বাধছে চীন-ভারতের?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২১ জুন ২০২০, ১২:২২
সেনাবাহিনী
চীনা সেনাবাহিনীর গাড়িবহর (ছবি : সংগৃহীত)

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের মাঝে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চলছে ভারত-চীন সংঘর্ষ। সীমান্ত নিয়ে এর আগে বহুবার বিবাদে জড়িয়েছে দুটি দেশ। ভারতের সঙ্গে একটি বড় অংশ সীমানা রয়েছে চীনের। ভারতে অবাধ চলাচলের সুবিধার্থে এরই মধ্যে অরুণাচলের গা ঘেঁষে নতুন রেলপথ বানাচ্ছে চীন।

ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমানা রয়েছে চীনের। আর এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিকে ব্যবহার করে ভারতের ভিতরে হামেশাই ঢুকে পড়ছে চীন। চীনকে প্রতিহত করতে সমরসজ্জাও শুরু করে দিয়েছে ভারত। তবে এরই মাঝে তিব্বতের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকাকে ছুঁয়ে দ্রুত গতিতে রেলপথ নির্মাণ করছে চীন। যা ২০২১ সালের মধ্যে শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সে দেশের সরকার। আর এই রেলপথ নিয়ে নতুন মাথাব্যথা তৈরি হয়েছে ভারতের।

এরই মধ্যে রেললাইন তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। তিব্বতের ইয়ারলুং তাসানজোংপ এবং সিয়াং অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে রেলব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে অর্থাৎ তিব্বতের যেখান থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ শুরু হয়েছে। আর সেখান থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে ভারতের এই রাজ্য নিয়ে নতুন করে বিবাদ বাধাতে চাইছে চীন।

এর আগেও অনেকবার চীন অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে এসেছে। শুধু তাই নয়, গত বছর ডিসেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছিলো চীন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে চীনের সীমান্ত সংঘাত মেটাতে প্রায় ২১ দফা বৈঠকও হয়ে গিয়েছে দুই দেশের।

আরও পড়ুন : আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে সম্মতি পেল ভারতীয় জওয়ানরা, পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা

তিব্বত থেকে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত পর্যন্ত এই চীনের রেললাইন তৈরি নতুন করে ভারত- চীন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড