আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম ধনী শহরের নাম সুইজারল্যান্ডের জেনেভা। আর সেই শহরই এখন ভুগছে তীব্র অর্থসঙ্কটে। আর তাই খাবার সংগ্রহ করতে পড়ে যাচ্ছে এক মাইল লম্বা লাইন। রাত ২টা থেকে লাইন শুরু হলে সকাল ৭টার মধ্যেই সেই লাইন এতোটা দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকেরই বক্তব্য একটু সাহায্য চাই। পরিবারের লোকজন না খেয়ে রয়েছেন যে। কেউ আবার বাচ্চা কোলে নিয়েই লাইনে দাঁড়িয়ে। কেউ বা হুইলচেয়ারে।
কিন্তু কেন বিশ্বের অন্যতম ধনী শহরের এই অবস্থা? জানা গেছে, আসলে করোনা নয়, অর্থনৈতি অবকাঠামো ভেঙে পড়াতেই জেনেভার এই হাল। করোনার কারণে পুরোপুরি স্তব্ধ পর্যটন শিল্প। মুখ থুবড়ে পড়েছে হোটেল ব্যবসাও। আর তাই এইসব কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশকেই গত মার্চ মাসের পর থেকে হারাতে হয়েছে চাকরি।
এছাড়া লোকের বাড়িতে কাজ করা অনেককেও কাজ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ফলে হাতে কানাকড়িও নেই। এর ফলে পেট চালানোর জন্য ভরসা সেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যক্তিবিশেষের সাহায্যই। আর তাই তো কোথাও খাবার দেওয়ার কথা জানতে পারলেই প্রায় দু’মাইল হেঁটেও উপস্থিত হয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
ঠিক যেমন সুখি সিনেনদোর্জ। করোনা মহামারির আগে একটি রেস্তরাঁয় সাফাইকর্মীর কাজ করতেন সুখি। মাইনে মাসে এক হাজার ছয়শ ডলার। কিন্তু করোনার কারণে রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেন মালিক। আর তাই কাজও চলে যায় সুখির। তারপর থেকে অন্যের সাহায্যের ওপরেই ভরসা করে রয়েছেন সুখি। আর তাই রাত ১টায় বাড়ি থেকে দু’মাইল দূরের স্টেডিয়ামে এসে খাবার সংগ্রহের লাইনে দাঁড়াতেও পিছপা হননা তিনি।
জাতিসংঘ থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদর দপ্তর যেখানে, সেই জেনেভাই এখন অন্য এক লড়াইয়ে ব্যস্ত। করোনা নয়, বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর ব্যস্ত ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়তে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
ওডি/
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড