• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পায়রা দিয়ে ভারতে গুপ্তচরবৃত্তি করে পাকিস্তান!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ মে ২০২০, ২১:২১
গুপ্তচর পায়রা

মাঝে মাঝেই কাশ্মীরে পাকিস্তান ভারত সীমান্তে ধরা পড়ে পায়রা। যেগুলো মূলত গোপন খবর বিনিময় করার জন্য। ২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে উড়ে এসেছিল একটি পায়রা। সেটির পায়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া একটি নোট উদ্ধার হয়েছিল। সেবারই অবশ্য এমন ঘটনা প্রথম নয়। ২০১৫ সালেও কাশ্মীরের সীমান্তের এক গ্রামে সাদা রংয়ের একটি পায়রা উদ্ধার করে। সেটির পায়েও সন্দেহজনক কোড লেখা ছিল। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। আবারও সীমান্ত এলাকা থেকে একটি পায়রা উদ্ধার করা হয়।

এবার যে পায়রাটি উদ্ধার হয়েছে সেটির পায়ে রিং পরানো ছিল। সেইসঙ্গে পায়ে লেখা ছিল একটি কোড। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সেই কোড—এর মানে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে এর মধ্যে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, পায়রাটি তার এবং সেটি একেবারে সাদামাটা পায়রা। ভুল করে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছে।

পাকিস্তানের জনপ্রিয় ডন পত্রিকায় ওই ব্যক্তি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ইদের দিন তার পায়রা ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। তারপর সেটিকে আটক করে রাখা হয়েছে। পায়রা শান্তির প্রতীক। তার পায়রাকে আটকে রেখে ভারত ঠিক কাজ করছে না বলেও জানায় সে। নিষ্পাপ একটি পায়রার উপর ভারতীয় সেনা অত্যাচার করছে বলে জানায় হাবিবুল্লাহ। যদিও তার কথায় বিশ্বাস করছে না ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার কাশ্মীরের একটি গ্রাম থেকে ওই পায়রাকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরই সেটির পায়ে রিং ও সন্দেহজনক কোড দেখে পুলিশ।

হাবিবুল্লাহ দাবি করেছে, পায়রার পায়ে যেটা কোড হিসাবে লেখা সেটা আসলে তার মোবাইল ফোনের নম্বর। পায়রা হারিয়ে গেলে কেউ যাতে সেটিকে তার কাছে ফেরত দিতে পারে তাই এমন উদ্যোগ। হাবিুল্লাহ জানিয়েছে, তার কাছে কয়েক ডজন পোষা পায়রা রয়েছে। ভারতে ঢুকে পড়া পায়রাটি তাদেরই একজন। কিন্তু পায়রার পায়ের সংকেতলিপি নিয়ে পুলিশের সন্দেহ বাড়ছে। সীমান্ত অঞ্চলে পায়রা দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি নতুন কিছু নয়। হাবিবুল্লাহর দাবি, ইদের দিন সে পায়রাটিকে ছেড়ে দেন। তার পরই সেটিকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। হাবিবুল্লাহ নিজেকে সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড