• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

লাদাখ সীমান্তে চীনের বিমানঘাঁটি স্থাপন, যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৭ মে ২০২০, ১৬:১৩
বিমানঘাঁটি
লাদাখ সীমান্তে চীনের বিমানঘাঁটি স্থাপন, যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি (ছবি : সংগৃহীত)

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখের কাছে বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে চীন। এমনকি সেখানে যুদ্ধবিমানের উপস্থিতিও দেখা গেছে।

বুধবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এমন সময়ে এই খবর এলো যার একদিন আগেই সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে চীনা বিমানঘাঁটিতে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে।

গত ৫ ও ৬ মে প্যানগং লেকে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিট্রেসফা’ সূত্রে গারি গুনসা বিমানবন্দরের দুইটি ছবি সামনে এসেছে। একটি ৬ এপ্রিল তোলা। অন্যটি গত ২১ মে-র। দুইটি ছবিতেই দেখা গেছে, ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে সেখানে। দৃশ্যত সেখানে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার রাখার ঘাঁটি হচ্ছে।

আরও একটি ছবি সামনে এসেছে। এতে কাছ থেকে বিমানবন্দরটিকে দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান রাস্তায় চারটি যুদ্ধবিমান পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। সেগুলো চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স’-এর জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

জে-১১ বা জে-১৬ হল রাশিয়ান সুখোই ২৭-এর উন্নত সংস্করণ। এর সঙ্গে ভারতের সুখোই ৩০ এমকেআই-এর মিল রয়েছে।

চীনের এই গারি গুনসা বিমানবন্দরের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ হাজার ২২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই বন্দরটি সেনা ও যাত্রীবাহী বিমান উড্ডয়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রকৃত সীমান্তরেখার খুব কাছে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এতটা উঁচু থেকে সেখানে কেবল সীমিত যুদ্ধ সামগ্রী ও জ্বালানি বহন করা সম্ভব।

আরও পড়ুন : এলোপাতাড়ি গোলাগুলিতে সৌদি আরবে নিহত ৬

ভারতীয় বিশ্লেষকরা অবশ্য এনডিটিভি-র কাছে দাবি করেছেন ওই এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো চীনা যুদ্ধবিমানের চেয়ে অনেক দীর্ঘ সময় আকাশপথে থাকতে পারবে।

১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতের একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার সমীর যোশী। এনডিটিভি-কে তিনি বলেন, ‘এই জাতীয় উচ্চতায় মোতায়েন করা চীনা জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যকরী ক্ষমতা এক ঘণ্টার বেশি হবে না। বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো বরং তিন থেকে চার ঘণ্টা লড়তে পারবে; যদি আকাশপথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে হয়।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড