• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনার দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার দাবি মার্কিন গবেষকদের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ এপ্রিল ২০২০, ১১:৫২
গবেষণা
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন একদল মার্কিন গবেষক। দুর্বলতাটি হলো করোনাভাইরাসের বিশেষ একটি অংশ লক্ষ্য করে কোনো ওষুধ বা অন্য থেরাপি দিয়ে আক্রমণ করা যায়।

এই দুর্বল অংশটিকে তাঁরা বলছেন ‘অ্যাকিলিস হিল’। গ্রিক পুরাণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর অ্যাকিলিসের গোড়ালিতে বিশেষ দুর্বলতা ছিল। ট্রয়ের যুদ্ধে গোড়ালিতে তিরের আঘাতে মারা যান তিনি।

অলাভজনক আমেরিকান চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের করোনাভাইরাস–বিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের ওই অ্যাকিলিস হিল খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিকিৎসাক্ষেত্রে খুব ভালো খবর হয়ে আসতে পারে। এ থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যাকসিন তৈরির পথ খুলে যেতে পারে।

স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক দলের নেতৃত্ব দেওয়া জীববিজ্ঞানী ইয়ান উইলসনের মতে, করোনাভাইরাসের মতো অতি সংক্রামক ভাইরাসের ওপর আক্রমণ করার জন্য নির্দিষ্ট দুর্বল অঞ্চল খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষকেরা বলেন, তাদের আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজ করেছে এক বছর আগে সার্স সংক্রমণের শিকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি। তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি ভাইরাসটির একটি নির্দিষ্ট অংশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে এবং তা কোভিড-১৯–এর ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম। এ বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে তারা করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গাটি পেয়ে গেছেন।

শুক্রবার স্ক্রিপস রিসার্চের এক বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার বিশেষ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের সঙ্গে তারা মিল খুঁজে পান, যা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করা গেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ওই দুর্বল জায়গাটি সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি সাধারণত ভাইরাসের ভেতরে লুকিয়ে থাকে এবং ভাইরাসের সেই অংশটি তার গঠন পরিবর্তন করার সময়েই কেবল সামনে আসে।

আরও পড়ুন : করোনায় ইতালিতে মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়াল

নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গা নিয়ে আরও গবেষণা চালানোর কথা বলেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বিষয়টিকে আরও জানার জন্য অ্যান্টিবডি খোঁজ শুরু করেছেন। এ জন্য কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের খোঁজ করছেন তাঁরা। এ রক্ত থেকে সম্ভাব্য কার্যকর অ্যান্টিবডি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সব মানুষের পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমন একটির সন্ধান করছেন, যা ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড