আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতকে ভাইরাস দিয়ে আক্রমণের গোপন কষেছিল পাকিস্তান? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতে। কারণ ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে দিল্লির নিজামউদ্দিনের তবলিঘি জামাতের ধর্মসভা। ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে , তবলিঘি জামাতের সাথে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ রয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক পত্রিকা আজকালের খবর গোয়েন্দাসূত্রের ভিত্তিতে দাবি করছে, পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকত–উল–মুজাহিদিনের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই তবলিঘি জামাতের। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডে জড়িত ছিল এই জঙ্গি সংগঠন। ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানে তৈরি হয় জঙ্গি সংগঠনটি।
গণমাধ্যমটির ওই সংবাদে বলা হয়, বিষয়টি জানতে পেরে এখন ঘুম উড়ে গিয়েছে ভারতের গোয়েন্দাদের। কারণ তাহলে ধরে নিতে হবে এটাই ছিল পাকিস্তানের বড় ছক। যা খুব সম্প্রতি তৈরি হয়েছে। আর তার ফলেই বিদেশ থেকে এখানে এসে জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন বিপুল মানুষজন। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন পাকিস্তানে এই হরকত–উল–মুজাহিদিনের শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে প্রায় ৬০০০ তবলিঘি জামাতের সদস্য। এমনকী ৯/১১–র এক হামলাকারীকে দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিঘি জামাতের সদর দপ্তরে দীর্ঘদিন আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, একাধিক জায়গায় নাশকতা চালানোর জন্য তবলিঘি জামাতের মৌলবিদের জঙ্গি বাছাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হতো। জঙ্গি বাছাইয়ের পর মৌলবি পরিচয় দিয়ে ভিসার ব্যবস্থা করে দিত এই তবলিঘি জামাত। তারপরে তাদের বিদেশে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এমনকী রাশিয়ার চেচেনিয়া, সোমালিয়া–সহ একাধিক দেশে এখনও এই মৌলবির পরিচয়ে জঙ্গি পাঠানো হয়।
এই খবর সামনে আসতেই সবার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। দুই হাজার জনকে করোনার পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের কোয়ারেনটিনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ পাকিস্তানে যোগাযোগ রেখে চলে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবলিঘি জামাতের এই ধর্মসভায় বিদেশ থেকে আসা লোকেরা তথ্য গোপন করেছিল বলে অভিযোগ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড