আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দিল্লির মারকাজ নিজামউদ্দিন মসজিদ থেকে তেলঙ্গানায় ফেরার পর ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। আন্দামান নিকোবরে ফিরে যাওয়া ১০ জনের করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি দেশ-বিদেশের কয়েকশো মানুষ। গতকাল সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে দিল্লিতে এবং পরে গোটা দেশে লকডাউনের জেরে ওই অনুষ্ঠানের পরে গন্তব্যে ফিরতে পারেননি অতিথিরা। তার জন্যেই মসজিদে ছিলেন।
২৪ তারিখ ভারত জুড়ে ঘোষণা হয়েছে লকডাউন। কিন্তু তার পরেও দিল্লির মারকাজ নিজামউদ্দিন মসজিদে ছিল দেশ-বিদেশি অসংখ্য মানষের জমায়েত। ইতিমধ্যেই ওই জমায়েতে যোগ দেওয়া অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও অন্তত ২০০ জন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। ওই সম্মেলনের জেরেই দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল তবলিঘি জামাত। তাতে দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার মানুষ ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, তাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমার, বাংলাদেশ, কিরঘিজস্তান, আফগানিস্তান, আলজিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, কুয়েত থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠান শেষে তারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিলেন। যেমন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন তেলঙ্গানায়। এখন এই বিপুল সংখ্যক মানুষ কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র তথা রাজ্য সরকারগুলির কাছে।
অন্য দিকে নিজামউদ্দিন কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে লকডাউন ঘোষণার অনেক আগেই দিল্লিতে লকডাউন জারি হয়েছে। তাই ওই প্রতিনিধিরা আটকে পড়েছিলেন। ট্রেন ও বিমান পরিষেবা আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ফিরতে পারেননি। সেই কারণেই ওই মসজিদেই থাকছিলেন তারা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড