আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দিল্লির সড়কে চলেছে শ্রমিক মিছিল। বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে পুরো সড়ক, মহাসড়কে হাজার হাজার লোকের জনসমুদ্র। লকডাউনে বাস বন্ধ, তবে মাঝে মাঝে দু-একটা বাস আসছে। তার ছাদে পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাই নেই।
ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পরদিন থেকেই শ্রমিকদের ঘরে ফেরার মিছিল শুরু হয়েছিল। শুক্রবার অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত সরকার করবে না। কারণ তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে যেখানেই আছেন, সেখানেই থাকতে হবে।
এরপর থেকে শুরু হয় শ্রমিকদের ঘরে ফেরার পালা। ২'শ, ৩'শ কিলোমিটারের তোয়াক্কা না করে সবাই হেটেই ছুটছে বাড়ির দিকে। রাস্তায় খাবার-জল মিলছে না। ক্লান্ত হয়ে হাইওয়ের পাশেই শুয়ে পড়ছেন তাঁরা। পুলিশ নামিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকদের রাস্তা আটকানো সম্ভব নয়। আর এতেই ভয় পাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। যেকোন সময় সংক্রমণ লাগামহীন হয়ে যেতে পারে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে গোটা দেশে।
তবে বড় শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক মুখ্য পরিসংখ্যানবিদ প্রণব সেনের। তিনি বলেন, এ ভাবে চললে খাদ্যের জন্য দাঙ্গা লেগে যেতে পারে। অতীতে দুর্ভিক্ষের সময় এ দেশে তেমন ঘটেছে।
এমতাবস্তায়, বিরোধীদের আঙ্গুল মোদী সরকারের উপর। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, নাগরিকদের এই দুর্দশার মুখে ঠেলে দেওয়া মস্ত অপরাধ। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনের দাবি, মোদী সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে, কিন্তু তার জন্য কোনও পরিকল্পনা তৈরি করেনি। তাঁর প্রশ্ন, রাত ১২টা থেকে ২১ দিনের লকডাউনের ঘোষণা কেন রাত ৮টায় করলেন প্রধানমন্ত্রী? কেন আমজনতাকে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেওয়া হল না? কেন শ্রমিকদের দুরবস্থা দেখেও কেন্দ্র তাদের জন্য নগদ অর্থসাহায্য, অন্য সুরাহার বন্দোবস্ত করল না? সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির প্রশ্ন, মন্ত্রীরা কি শুধু দূরদর্শনে রামায়ণ-মহাভারত দেখার জন্য রয়েছেন?
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড