আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বই এখন ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভয়ংকর অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সবাই যখন হন্যে হয়ে এই সংকট মোকাবিলার পথ খুঁজছে তখন ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, তিনি রাশিয়ায় করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাই রাশিয়ার জনগণের এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
পরিসংখ্যানও অবশ্য পুতিনের দাবির পক্ষেই কথা বলছে। ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও জার্মানির মতো দেশগুলো যখন করোনা মোকাবিলায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে তখনো রাশিয়ায় করোনার বিস্তার খুব একটা নেই বললেই চলে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাশিয়ায় এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হওয়ায় ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।
চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে রাশিয়ার। গত জানুয়ারিতেই রাশিয়ায় প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। তবুও বিস্ময়করভাবেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন একেবারেই কম।
রাশিয়া সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে পুতিনের কৌশল কাজে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের মতও তাই। পুতিন বলেছেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে পেরেছে তার দেশ। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
মার্কিন সংবাদমাদ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পরপরই সচেতন হয়ে যায় রাশিয়া। ৩০ জানুয়ারি চীনের সঙ্গে ২৬শ মাইলের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় তারা। সে সঙ্গে কোয়ারেন্টিন জোন তৈরি করে পুতিনের সরকার। করোনা ঠেকাতে রাশিয়ার এই কৌশল কাজে দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা প্রতিরোধে সব চেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে পরীক্ষার ওপর। রাশিয়ায় সংস্থাটির প্রতিনিধি ড. মেলিতা ভোজনোভিস বলেছেন, আক্ষরিক অর্থে এই পরীক্ষার কাজ জানুয়ারির শেষে শুরু করে রাশিয়া। একই সঙ্গে সীমান্ত বন্ধে পদক্ষেপ নেয় তারা।
তিনি বলেন, পরীক্ষা এবং করোনায় আক্রান্তদের শনাক্ত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটিই করেছে রাশিয়া। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় খুব দ্রুত গতিতে করোনার পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ব্যাপক হারে এই কার্যক্রম চালু করে তারা।
আরও পড়ুন : করোনার ২০টি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা অর্থাৎ একজন থেকে আরেকজনকে দূরে রাখার ব্যাপারটিও এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এখানেও কার্যকর পদক্ষেপ ছিল রাশিয়ার। বিমানবন্দরে বিশেষ করে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ব্যক্তিদের পরীক্ষায় বেশি গুরুত্ব দেয় দেশটি।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড