আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অবশেষে স্বাক্ষরিত হলো বহুল আলোচিত তালিবান-মার্কিন শান্তি চুক্তি। দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত চলা আফগান যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে কাতারের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক এই ঘটনার পর এবার দেড় হাজার তালিবান বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে আফগান সরকার। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এরই মধ্যে বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিবান বন্দিদের মুক্তি প্রদানের আগে তাদের সবার কাছ থেকে আর যুদ্ধক্ষেত্রে না যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। এর পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হবে তাদের মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন থেকে প্রতিদিন একশজন করে কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যার ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেড় হাজার তালিবান বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হবে। যদিও তালিবান নেতারাও নিজেদের কাছে বন্দি এক হাজার আফগান সেনাকে এরই মধ্যে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, তালিবান ও আফগান সরকারে মধ্যে দ্রুত আরও বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে প্রতি দুই সপ্তাহে পাঁচশজন করে মোট পাঁচ হাজার তালিবান বন্দিকে আফগান সরকার মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানের সঙ্গে সশস্ত্র তালিবানদের মধ্যে আলোচনা করতে হলে প্রথমেই সংগঠনটির পাঁচ হাজার যোদ্ধাকে মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া চুক্তিতে তালিবান নেতাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি করেছিল যে তারা আফগানিস্তানের রাজনৈতিক বন্দি ও তালিবান যোদ্ধাদের মুক্ত করে দেবে।
আরও পড়ুন : করোনা থেকে মুক্তির আশায় ৪৪ ইরানির অকাল মৃত্যু
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ পরিচালনার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পর সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালিবান নেতারা ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করেন। বেশ কয়েক দফায় বৈঠক শেষে এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করে সশস্ত্র সংগঠন তালিবান।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড