আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী নয়াদিল্লি। এবার সহিংসতায় ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭০ জন। এমনকি হামলা-হেনস্তার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরাও। তাছাড়া বেশকিছু মসজিদে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংকটময় এই পরিস্থিতির কারণে একরকম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে মুসলিমদের।
এ দিকে দিল্লির গৌতমপুরী, ভজনপুরা এবং মৌজপুর অঞ্চলের বাসিন্দারা নিজেদের হিন্দু বলে প্রমাণ দিতে বাড়ির বাইরের দেওয়াল, প্রধান দরজা ও বারান্দাতে লাগিয়ে রাখছেন গেরুয়া পতাকা। এভাবেই তারা হামলার শিকার থেকে বাঁচতে নিজেদের হিন্দু বলে প্রমাণ দিচ্ছেন।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ভজনপুরার এক বাসিন্দা জানান, উগ্রবাদীদের চালানো সহিংসতার হাত থেকে বাঁচাতে এলাকার প্রতিটি হিন্দু বাড়ি ও দোকানে গেরুয়া পতাকা লাগানো হয়েছে। যদিও এলাকাটি হিন্দু প্রধান, তবুও এখানে কয়েকজন মুসলিমের দোকান রয়েছে। এবার সেগুলোকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতদিন যারা এই মুসলিমদের প্রতিবেশী হিসেবে ছিলেন এখন তারাই পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে জিনিসপত্র লুট করছেন।
মৌজপুরের বাসিন্দা পৃথ্বী সিংয়ের মতে, আমরা নিশ্চিত নই, সবাই নিজ থেকে পতাকাগুলো বাড়ি-বাড়ি লাগিয়েছেন নাকি কোনো গোষ্ঠী এর পেছনে রয়েছে। তবে প্রত্যেকটি পতাকার আকার-আকৃতি প্রায় একই রকম।
অপরদিকে নিউ সিলামপুরের বাসিন্দারা জানান, যারা এসব এলাকায় প্রতিহিংসা ছড়াচ্ছে তারা কেউই এখানকার বাসিন্দা নয়। মূলত সহিংসতা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তাদের বাইরে থেকে আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ এবং কারওয়াল নগরে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এ সময় সড়কে কাউকে দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারতে প্যান্ট খুলে সাংবাদিকের ধর্ম যাচাই!
তাছাড়া গোটা উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে আগামী এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে মোদী সরকার। এমনকি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদেও এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড