আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা। দেশ দুটি নিয়মিত একে-অপরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বলতে গেলে, প্রতি সপ্তাহেই একবার করে হুমকি দিচ্ছে তারা। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বশেষ হুমকি দিয়েছেন আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তখন তিনি বলেন, পারস্য উপসাগরে ইরানকে কিছুই করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী। কারণ, তাদের বেশকিছু দুর্বলতা রয়েছে।
আইআরজিসি কমান্ডারের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, সামরিক শক্তিতে খুবই আত্মবিশ্বাসী ইরান। কিন্তু সামরিক শক্তিতে সত্যিই কতটা শক্তিশালী তেহরান? তারা কী পারবে মার্কিন কোনো হামলা ঠেকাতে?
দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট সম্প্রতি এ বিষয়ে কিছু গবেষণা করেছে। ওই গবেষণার ভিত্তিতে করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সামরিকবাহিনীর বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে। তবে তাদের মূল শক্তি নৌবাহিনী। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর দেশটির সাবমেরিন ফোর্স। সবমিলিয়ে ইরানের নৌবাহিনী শক্তিমত্তার দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
ইরানের বর্তমানে অন্তত ৩৪টি সাবমেরিন রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪টি সাবমেরিন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, যার নাম গাদির। বাকিগুলো তৈরি উত্তর কোরীয় ‘ইয়োগো’ প্রযুক্তিতে। গাদির সাবমেরিনগুলো আকারে অনেক ছোট। কিন্তু শক্তিমত্তার দিক থেকে এগুলো অতুলনীয়।
ইরানের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাবমেরিন ক্ষমতা অনেক। তবে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মতো বিশ্বজুড়ে ক্ষমতা বিস্তৃতির দরকার নেই তেহরানের। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্ষমতার বিস্তার না ঘটালেও চলবে ইরানের।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের রকেট হামলা, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
মূলত এ দিকটাতেই এগিয়ে আছে ইরান। তারা নিজেদের সবটুকু ক্ষমতা পারস্য উপসাগরে নিয়োগ করছে। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পারস্য উপসাগরে ইরানের যে পরিমাণ শক্তি আছে তা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ফলে মার্কিনবাহিনী যে কোনো সময় অঞ্চলটিতে সংকটে পড়তে পারে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সাবমেরিনের উন্নতির জন্য ইরানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তেহরানের সাবমেরিন ফোর্স বর্তমানে যে শক্তিশালী পর্যায়ে এসেছে তার পেছনে বড় অবদান আছে পিয়ংইয়ংয়ের। এমনকি ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সাবমেরিন বানানোর জন্য ইরানকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে উত্তর কোরিয়া।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার সহায়তায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাবমেরিন ক্ষেত্রে আরও উন্নত হবে ইরান। এ সময় ছোট সাবমেরিনের পাশাপাশি বড় ও আরও শক্তিশালী সাবমেরিন তৈরির দিকে মনোনিবেশ করবে তারা। ফলে পারস্য উপসাগরে ইরানের আধিপত্য বিস্তারে লাগাম টানতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এমনকি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীকেও যে কোনো মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে ইরানের সাবমেরিন ফোর্স।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড