• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দশ হাজার ডলার পাচ্ছে সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশি

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০৫
দশ হাজার ডলার পাচ্ছে সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশি
ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে (ছবি : প্রতীকী)

দ্রুত মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের সীমানা পেরিয়ে এর প্রাদুর্ভাব আরও অন্তত ২৪টি রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।

গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন, ঠিক তখনই সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত এক বাংলাদেশির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ হাজার ডলার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির বেসরকারি সংস্থা মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সেন্টারের (এমডব্লিউসি) পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত এই আর্থিক সহায়তা পাঠানো হবে।

সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষায় কাজ করা এমডব্লিউসির উদ্যোগে ৩৯ বছর বয়সী ওই শ্রমিককে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এবার তার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়াই-কে ইনোভেশন্স এবং লিও ডরমেটরি পরিচালনাকারী মিনি এনভায়রনমেন্ট সার্ভিসেস সহায়তাটি প্রদান করছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি শরীরে মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব দেখা দেওয়ায় ওই বাংলাদেশি শ্রমিককে কাকি বুকিতের লিও ডরমেটরিতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত ৪২তম ব্যক্তি ওই শ্রমিক।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক ফেইসবুক পোস্টে এমডব্লিউসি জানিয়েছে, তিনি যেহেতু একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, তাই তার পরিবার এখন একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৫ জনে পৌঁছেছে। তাছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজারের অধিক।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে যোগ দেওয়া নতুনদের মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আরও তিন লক্ষাধিক মানুষ।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে মালয়েশিয়া

ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর