• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু

  কে এইচ আর রাব্বী

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৩
জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু
সোমালিয়ান জলদস্যু (ছবি : রয়টার্স)

জলদস্যুতার যুগ অনেক আগে শেষ হলেও বিষয়টিকে ঘিরে প্রচলিত সব কাহিনী এখনো মানুষের মুখে মুখে রয়ে গেছে। ‘জলদস্যু’ শব্দটা শুনলেই চোখে ভেসে উঠে কতগুলো টুকরো টুকরো ছবি। শক্ত চোয়ালের একজন নাবিক, গুপ্তধনের সন্ধানে দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে ছুটে চলা সাদা পালের জাহাজ ও মাঝ সাগরের নৌযুদ্ধসহ ইত্যাদি।

যদিও সব কল্পনাকে ছাপিয়ে গেছে আধুনিক কালের সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাহিনী। বর্তমানে সোমালিয় উপকূলে জলদস্যুতা আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলুন জেনে নিই সোমালিয়ান জলদস্যুদের সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য —

সোমালিয়ান জলদস্যুদের পরিচয় :

আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় একটি দেশ সোমালিয়া। একবিংশ শতকের প্রথমদিকে দেশটির সমুদ্র উপকূল অংশে জলদস্যুতার ঘটনা বিশ্ব বাণিজ্য ও নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যা এখনো বিদ্যমান। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটোর হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও অঞ্চলটিতে জলদস্যুতার ঘটনা থেমে নেই।

কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা না থাকায় অভ্যন্তরীণভাবে তাদের বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। প্রকৃত অর্থে দেশটির বিস্তৃত উপকূল জুড়ে জলদস্যুতার ঘটনাকে গোপনে সেখানকার জনগণ থেকেও সমর্থন জানানো হয়।

১৯৯১ সালে সোমালিয় সরকারের পতন ঘটে। এরপর ভয়ানক গৃহযুদ্ধ ও নতুন সরকারের অদক্ষতাসহ বিভিন্ন বিষয় মিলিয়ে দেশটিতে আধুনিক জলদস্যুতা দেখা দেয়। এই জলদস্যু বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই সোমালিয় যুবক।

২০১০ সালে সোমালিয় সরকারের পক্ষ থেকে এই জলদস্যুদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, জলদস্যুদের ৮০ শতাংশই সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বিবাদপূর্ণ অংশের বাসিন্দা। আর মাত্র ২০ শতাংশ হচ্ছে অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল উত্তরাঞ্চলের।

জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু

সোমালিয়ান জলদস্যুদের ব্যবহার করা নৌকা (ছবি : সিএনএন)

২০০৮ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমালিয় জলদস্যুরা মোট তিন আগে বিভক্ত :

উপকূলের জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন –

সাগর ও সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান-দক্ষতার কারণে জলদস্যুদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের পেছনে স্থানীয় জেলেদের দায়ী করা হয়। তারাই মূলত দস্যু গ্যাংটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা –

সোমালিয় জলদস্যু দলের পেশিশক্তি হিসেবে কাজ করে দেশটির পূর্ববর্তী সরকার বা স্থানীয় সম্প্রদায়ের হয়ে যুদ্ধ করা সাবেক সৈনিক বা সেনা কর্মকর্তারা। যুদ্ধের পর্যাপ্ত কৌশল ও পেশিশক্তি থাকায় তারা খুব সহজেই লক্ষ্যবস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দল –

এ ধরনের ব্যক্তিরা মূলত জলদস্যুদের প্রযুক্তিগত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন, জিপিএস ডিভাইস পরিচালনার মাধ্যমে তারা যে কোনো সময় লক্ষ্যবস্তুকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, অভিযান পরিচালনার সময় জলদস্যুদের প্রতিটি দলে এই তিন ধরনের সদস্যরা থাকে। ‘হর্ন অব আফ্রিকা’ হিসেবে পরিচিত জলভাগের সুবিধাজনক অঞ্চলে থাকায় সোমালিয় জলদস্যুরা চাইলে ঐ পথে চলাচলকারী সকল নৌযানকে আক্রমণ করতে পারে।

জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জব্দ করা নৌযান (ছবি : আল-জাজিরা)

জলদস্যুতার পেছনের গল্প :

পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে, বিশেষ করে ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী সকল জাহাজের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে উঠে স্থানীয় জলদস্যুরা। তখন গৃহযুদ্ধের কারণে সোমালিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে যায়। যার প্রেক্ষিতে দেশটির সমুদ্র উপকূলে ফলপ্রসূ কোনো কোস্টগার্ডও মোতায়েন রাখা সম্ভব হয়নি।

এই সুযোগে সেখানকার জলসীমায় একের পর এক বিদেশি জাহাজ প্রবেশ করে তাদের মৎস্যক্ষেত্র দখল করতে থাকে। এমনকি সোমালিয় উপকূলে বেআইনিভাবে বিদেশি বর্জ্য পদার্থ ডাম্পিং পর্যন্ত করা হয়। ফলে একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির মুখে পড়তে থাকে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ ডাম্পিংয়ের ফলে উপকূলবর্তী পরিবেশ স্থানীয়দের বসবাসের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ভাইরাসজনিত অসুখ দেখা দেয়। ফলে স্থানীয় জেলেরা সশস্ত্র দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের জলসীমায় বিদেশি জাহাজের প্রবেশ ঠেকাতে পাহারা দিতে শুরু করে।

এ সময় বিদেশি জাহাজকে ভয় দেখিয়ে সোমালিয় জলসীমা থেকে দূরে রাখতে তারা অল্প পরিসরে জাহাজ ছিনতাইও করতে থাকে। যদিও ধীরে ধীরে এই ছোট ঘটনাটি জলদস্যুতায় রূপ নেয়। যার ধারাবাহিকতায় বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই ও মুক্তিপণ আদায় তাদের অতিরিক্ত আয়ের সংস্থান হিসেবে পরিণত হয়। এর মাধ্যমে অঞ্চলটিতে জলদস্যুতা একটি ভয়াবহ ও স্থায়ী রূপ ধারণ করে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায়, উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত ৭০ শতাংশের অধিক মানুষ নিজেদের জলসীমায় বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে জলদস্যুতাকে সমর্থন করে আসছে।

স্থানীয়দের মতে, জলদস্যুতার মাধ্যমে সোমালিয় তরুণরা বিদেশিদের হাত থেকে নিজেদের মাছ ধরার অঞ্চল ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করছে। তাদের নিজস্ব বিশ্বাস ও আর্থিক লাভের কারণে নতুন সদস্যরা প্রতিনিয়ত দস্যুদলে নাম লেখাচ্ছে।

জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু

সোমালিয়ান জলদস্যুদের নৌকাতে কোষ্টগার্ডের অভিযান (ছবি : এবিসি নিউজ)

জলদস্যুদের আক্রমণ, অস্ত্রশস্ত্র ও মুক্তিপণ আদায়ের প্রক্রিয়া :

২০০৫ সালের পর থেকে সোমালিয়ান জলদস্যুরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহৎ পরিসরে আক্রমণ শুরু করে। সমুদ্র বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার কারণে তারা কেবল ক্ষিপ্রগতিতেই নয় বরং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হানা দেয়। যা তাদের দস্যুবৃত্তিতে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।

আক্রমণের সময় হিসেবে তারা মূলত রাত কিংবা ভোরের দিকটাকেই বেছে নিত। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হলেও জলদস্যুরা বড় জাহাজগুলোর কাছে পৌঁছাতে ছোট ছোট মটর চালিত নৌকা ব্যবহার করত। যা দ্রুত গতির পাশাপাশি অতিরিক্ত ছোট হওয়ায় বড় জাহাজের রাডারে সহজে ধরা পড়ে না। রাতের অন্ধকারে তারা যখন ছোট নৌকাগুলোতে চেপে জাহাজে আক্রমণ করে স্বভাবতই তা ক্রুদের নজর এড়িয়ে যায়।

অতীতের আক্রমণগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, জলদস্যুরা সাধারণত জাহাজগুলোর পেছন দিক থেকে আক্রমণ চালায়। এক মাথায় হুক লাগানো লম্বা দড়িতে চেপে তারা দ্রুত জাহাজে উঠে যায়। অনেক সময় তারা লম্বা বাঁশও ব্যবহার করে থাকে। যা মূলত জাহাজের পেছন দিকে লাগানো হুকের সঙ্গে আটকানো হয়।

এই কাজগুলো তারা এত দ্রুত করে যে জাহাজের ক্রুরা কিছু বুঝে ওঠা কিংবা এলার্ম বাজানোর আগেই তারা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তাছাড়া গভীর সমুদ্রে আক্রমণ সাজানোর সময় তারা একটি মাদারশিপ থেকে অভিযান পরিচালনা করে।

বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, জলদস্যুদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের অধিকাংশ অস্ত্র ইয়েমেন থেকে সরবরাহ করা হয়। যদিও সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশু এবং স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকেও তারা অস্ত্রশস্ত্র পেয়ে থাকে। দস্যুদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- AK47, AKM, Type56, TT33, RPK, RPG-7 এবং PK, তাছাড়া RGD-5 ও F1 এর মতো শক্তিশালী হাত বোমাও তারা ব্যবহার করে থাকে।

বন্দিদের কাছ থেকে জলদস্যুরা মূলত ইউএস ডলারের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে। এসব মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের জন্য মূলত তা বস্তায় ভরে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেওয়া হয় বা ছোট নৌকায় করে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এমনকি মাঝে মধ্যে প্যারাসুটের মাধ্যমেও এই মুক্তিপণের টাকা জলদস্যুদের কাছে পৌঁছানো হয়।

জীবন রক্ষায় আজ সোমালিয়ানরা জলদস্যু

উপকূলে আটককৃত সোমালিয়ান জলদস্যুরা (ছবি : বিবিসি নিউজ)

সমুদ্রে জলদস্যুদের আক্রমণের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা :

আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সোমালিয় জলদস্যুরা এখন পর্যন্ত হাজারখানেক জাহাজে আক্রমণ করেছে। যদিও এর সবকটিতে তারা সফলতা পায়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গোষ্ঠীটি মোট ১১১টি আক্রমণ সাজিয়েছে। যার মধ্যে অর্ধশতাধিক আক্রমণই ব্যর্থ হয়েছে। যদিও এই রুটে চলাচলকারী ৩০ হাজারের অধিক বাণিজ্যিক জাহাজের মধ্যে এই সংখ্যাটি কেবল ভগ্নাংশ মাত্র।

সাম্প্রতিক কালে বিশেষভাবে মিডিয়া কভারেজ পাওয়া কিছু আক্রমণের ঘটনাকে নিচে তুলে ধরা হলো —

২০০৭ সালের ২৮ মে আটক জাহাজের মালিক মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জলদস্যুরা একজন চীনা নাবিককে হত্যা করেছিল। এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসে। পরে ২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা কমিশন এই রুটে চলাচলকারী সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মালিকানা রাষ্ট্রসমূহকে নিয়ে একটি আইন প্রণয়ন করে। যেখানে তারা মিলিটারি ফোর্স ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর ভারতীয় নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের সন্দেহভাজন একটি মাদারশিপ ডুবিয়ে দেয়। পরে অবশ্য জানানো হয়, এটি একটি থাই ট্রলার যা জলদস্যু দ্বারা ছিনতাই হয়েছিল।

ভারতীয় নৌ সেনাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ওপর ঐ ট্রলার থেকে প্রথমে গুলিবর্ষণ করা হয়। এরপর ২১ নভেম্বর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানায়, সোমালিয় জলদস্যুদের মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী জাতিসঙ্ঘ থেকে একটি অনুমতিপত্র পেয়েছে।

২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল সোমালিয়ার বন্দর নগরী ঈল থেকে সমুদ্রের ২৪০ নটিক্যাল মাইল অভ্যন্তরে জলদস্যুরা ‘এমভি মার্স্ক অ্যালবামা’ নামে একটি জাহাজ আক্রমণ করেছিল। তখন জাহাজটির ১৭ হাজার মেট্রিক টন মালামাল জব্দ করা হয়।

মূলত এই জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড ফিলিপ। এরপর ১২ এপ্রিল ইউএস নেভি সিল স্নাইপাররা রিচার্ড ফিলিপকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তখন তিন জলদস্যুকে গুলি করে হত্যার পর আব্দুল ওয়ালি মূসা নামে চতুর্থ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই বছরের ২ মে সোমালিয় জলদস্যুরা ২৪ ইউক্রেনিয়ান ক্রুসহ ‘এমভি আরিয়ানা’ নামে আরও একটি জাহাজে আক্রমণ করেছিল। তখন ৩০ লাখ মিলিয়ন ইউএস ডলার মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজটিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরপর ২০১০ সালের মে মাসে রাশিয়ান স্পেশাল ফোর্স হামলা চালিয়ে জলদস্যুদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি তেল ট্যাংকার পুনরুদ্ধার করেছিল। ভয়াবহ সেই অভিযানে একজন জলদস্যুর প্রাণহানিসহ ১০ জনকে বন্দি করা হয়।

২০১১ সালের ১৫ জানুয়ারি জলদস্যুরা মাস্কট থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মাল্টার পতাকাবাহী সামহো শিপিংয়ের একটি জাহাজ আক্রমণ করে। কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার চোই ইয়ং জাহাজটিকে কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিল।

পরে ২১ জানুয়ারি কোরিয়ান নেভি সিল ছোট ছোট নৌকায় চেপে সামহো জুয়েলারি নামক জাহাজটিতে আরোহণ চালায়। রক্তক্ষয়ী সেই অপারেশনে ৮ দস্যু নিহত ও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত জাহাজটির ২১ জন ক্রু নিরাপদে বন্দরে ফিরলেও ক্যাপ্টেন গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীকালে তিনিও সেরে উঠেন।

আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শুরু পঙ্গপালের তাণ্ডব (ভিডিও)

উল্লেখ্য, উপরোক্ত ঘটনাগুলো ছাড়াও সোমালিয় জলদস্যুরা অনেক জাহাজে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। যদিও ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের পর থেকে জলদস্যুদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে আসে।

নিচে ২০১৮ সালে সোমালিয়ান জলদস্যুদের চালানো একটি হামলার ভিডিও প্রকাশ করা হলো :

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড