ইরানের হুমকি মোকাবিলায় বৈঠকে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। এতে বড় ধরনের উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বিশেষ করে তেহরানের নিয়মিত হুঁশিয়ারির কারণে যুদ্ধের আশঙ্কায় রয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যার ধারাবাহিকতায় ইরানকে রুখতে এবার সৌদি আরবের শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

তিনি বলেছেন, রিয়াদ সরকারের সঙ্গে ইরানের হুমকি, নিজেদের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে।

সৌদিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী রিয়াদে পৌঁছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে তিনি ইথিওপিয়া ত্যাগের সময় বিমানবন্দরে আগত সাংবাদিকদের ইরানের সঙ্গে যে কোনো সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছিলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আলোচনায় বসা হলেও তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।

পম্পেওর ভাষায়, আমরা সম্পূর্ণভাবে চাপ প্রয়োগের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এটি কেবল অর্থনৈতিক চাপের প্রচারণা নয়, বরং এর সঙ্গে সামাজিক ও কূটনৈতিক বিষয়ও জড়িত।

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে নিজেদের বের করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে তেহরানের তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এর পরপরই এই দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কে এক বৈরিতা দেখা দেয়, যা এখনো অব্যাহত আছে।

ইরানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরকারী সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান)। মূলত সেই চুক্তির ফলে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি থেকে বারংবার সরে আসার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল ইরান।

আরও পড়ুন : যুদ্ধ করতে তালিবানকে বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইরান

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ প্রতিনিধি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সৌদি আরবে অবস্থান করবেন। এরপর সেখান থেকে তার ওমান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ওডি/কেএইচআর