• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাপানের প্রমোদতরীতে করোনায় আক্রান্ত ১৩০

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:২১
জাপানের প্রমোদতরীতে করোনায় আক্রান্ত ১৩০
জাপানে প্রমোদতরী থেকে নামা যাত্রীরা (ছবি : নিউ ইয়র্ক টাইমস)

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৯০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৪০ হাজারের অধিক।

গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই করোনা আতঙ্কে ৩ হাজার ৭১১ যাত্রীসহ এক প্রমোদতরীকে আটক করেছিল জাপান। যদিও রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কোয়ারেন্টাইন করে রাখা সকল যাত্রীকে মুক্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানায়, ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ নামে ওই যাত্রীবাহী প্রমোদতরীকে জাপানের একটি বন্দরে কোয়ারেন্টাইন করেছিল প্রশাসন।

যদিও ক্রুজ শিপে থাকাকালীন মরণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬০ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের সকলকেই বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাপানের ইয়োকোহামা উপসাগরীয় বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি। তখন সেখানকার ১০ যাত্রীর শরীরে জ্বরসহ করোনা ভাইরাসের অন্যান্য লক্ষণগুলো দেখা দেয়। এদের মধ্যে ৮০ বছর বয়সী এক যাত্রীর শরীরে ভাইরাসের আলামত পাওয়ার পর প্রমোদতরীটি কোয়ারেন্টাইন করে জাপান সরকার। মূলত এর পরপরই সেখানকার অন্য যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মন্ত্র জপলেই পালাবে করোনা ভাইরাস

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর