• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনা ভাইরাসের নতুন নাম দিল চীন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:০১
করোনা ভাইরাসের নতুন নাম দিল চীন
করোনা ভাইরাস (ছবি : প্রতীকী)

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নতুন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। মানুষের মাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ৮১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজারে পৌঁছেছে। যদিও বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৩৭ হাজারের অধিক। তাছাড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক মানুষকে।

গোটা বিশ্ব যখন মহামারি এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত, ঠিক তখনই করোনা ভাইরাসের নতুন নাম ঘোষণা করেছে বেইজিং। এখন থেকে মহামারি এ ভাইরাসটিকে ‘নভেল করোনা ভাইরাস নিউমোনিয়া’ বা এনসিপি নামে ডাকা হবে।

শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বিবৃতির মাধ্যমে ঘোষণাটি করে। যেখানে কেবল সাময়িক সময়ের জন্য এই ভাইরাসের নাম পরিবর্তন বলে জানানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, গত বছরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে যাওয়া ভাইরাসটিকে অনেকেই উহান করোনা ভাইরাস নামে ডাকতে থাকেন। যা শহরটির বাসিন্দাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর ও হতাশাজনক।

এসবের প্রেক্ষিতে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। নামটি সাময়িক হলেও কখন এ ভাইরাসটি চূড়ান্ত নাম পাবে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন।

এ দিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় মাত্র ১০ দিনে নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছে চীন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনবিসি।

অপরদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত মার্কিন সেনারা

সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর