শান্তি পরিকল্পনা ফিলিস্তিনের সঙ্গে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিশ্বাসঘাতকতা : ইরান

আমেরিকার পক্ষ থেকে উত্থাপিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে ইরান। ফিলিস্তিনিদের ওপর আমেরিকার পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়া এই লজ্জাজনক শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে বাধ্য বলে মনে করে তেহরান।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর বহুল আলোচিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের সময় ট্রাম্প বলেন, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের জন্য শেষ সুযোগ।

এর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প উত্থাপিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেন, এ পরিকল্পনা উত্থাপন করে ট্রাম্প মূলত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি সারা বিশ্বের মুসলিমদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। যা শতাব্দীর সেরা বিশ্বাসঘাতকতা।

এ সময় ফিলিস্তিনের জনগণকে ইসরায়েলসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের প্রকৃত মালিক বলে উল্লেখ করে সাইয়্যেদ মুসাভি বলেন, জোর করে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কাজেই সেখানকার সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় ফিলিস্তিনের প্রকৃত অধিবাসী মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে গণভোটের ব্যবস্থা করা। এতে তারা নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে পারবে। আর অবশ্যই বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে আসা অবৈধ ইহুদি অভিবাসীদেরকে এই গণভোটের বাইরে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন : ট্রাম্প প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন : জারিফ

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প উত্থাপিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ঐতিহাসিক জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর নিজেদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের।

ওডি/এসসা