আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৪ সেনা আহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও প্রথমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন সেনাদের কিছুই হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের (পেন্টাগন) বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, এখন পর্যন্ত ৩৪ মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের মস্তিষ্কে ক্ষত তৈরি হয়েছিল।
পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানান, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনো ১৭ মার্কিন সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য এর বেশি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে গত সপ্তাহে ইরানি হামলায় ১১ জন মার্কিন সেনা আহত হয়েছে বলে স্বীকার করে পেন্টাগন। এবার ৩৪ জন আহতের কথা স্বীকার করল তারা, যাদের মধ্যে ১৭ জনকে এখনো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও স্বীকার করেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ঘাঁটি ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি সেনাদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানি হামলার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা আহতও হয়নি। এ কারণে ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো হামলা চালাবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনাদের কোনো ক্ষতি হলে এর জবাব পেত তেহরান- এমনটিও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন : তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ১৮
কিন্তু হামলার পর যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি সেনা আহতের খবর সামনে আসছে। এ সম্পর্কে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে ট্রাম্পের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি তাদের মাথাব্যথা ও অন্য কিছু সমস্যা। কিন্তু আমি বলব, এটা জটিল কিছু নয়। অন্যান্য চোটের তুলনায় এসব চোট কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন অভিযানে নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ওই ঘাঁটি।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড