আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা নিরসন ও সংকট মোকাবিলায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবকে এবার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। বুধবার (২২ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ।
বিশ্লেষকদের মতে, সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরব ও শিয়াপন্থি ইরানই হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দুই পরাশক্তি। ধর্ম ও রাজনৈতিক বিভেদের কারণে প্রায়ই তাদের মুখোমুখি অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
এ দিকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আয়োজিত এক অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের। সেখানে তিনি ইরানকে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে প্রথম ইরানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল সৌদি। কিন্তু ধ্বংস ও মৃত্যু ছাড়া আমরা আর কিছুই পাইনি। সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হওয়ায় তেহরানের সঙ্গে রিয়াদের কখনোই বনিবনা হবে না।
অপরদিকে ইরানের চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি বলেন, ইরান ও তার প্রতিবেশী সৌদি আরবের মধ্যে থাকা সম্পর্ক কখনোই তেহরান আর ওয়াশিংটনের সম্পর্কের মতো হওয়া উচিত নয়। কেননা আমাদের সমস্যাগুলো রিয়াদ ও তেহরানকে যৌথভাবে সমাধান করতে হবে।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন : ইরানকে রুখতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াচ্ছে সৌদি
সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি ভোররাতে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। কেননা মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন পর্যন্ত ছায়াযুদ্ধে রয়েছে সৌদি আরব ও ইরান।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড