আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরল এই ধারাটি প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে তদন্তের জন্য চাপ দেওয়ায় পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি আনা হয়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সিনেটে ট্রাম্পের বিচার শুরু হলে সেখানে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত হন। এর মধ্যেই প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
ঐতিহাসিক এই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে সিনেটে ভাষণ দিয়েছিলেন রিপাবলিকান দলনেতা মিচ ম্যাককনেল। তিনি বলেন, বিচারের শুরুতে সাক্ষীদের সমনজারি ও নথির বিষয়ে ডেমোক্র্যাটদের যে কোনো সংশোধন প্রস্তাবে আমরা বিরোধিতা করব।
সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানায়, খুব দ্রুতই এই বিচারের নিয়ম-বিধি নিয়ে সিনেটে একটি ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সিনেটের পক্ষ থেকে সাক্ষীদের জন্য আদৌ কোনো সমন জারি করা হবে কি না তা নির্ণয়ের কথা রয়েছে । এবার সম্ভাব্য সাক্ষীদের তালিকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনও রয়েছেন।
এর আগে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে ম্যাককনেলের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার অভিযোগ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। যদিও ফোনকলটি পরবর্তী সময়ে ফাঁস করা হয়। যেখানে দেখা যায়, যুদ্ধবাজ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পদত্যাগী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরবর্তীকালে সেই ফোনকলের অনুলিপিও গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের সেই প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত সেই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি জনসম্মুখে আসে।
যে কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার পদ থেকে সরাতে এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। যদিও ইস্যুটি নিয়ে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগকে পুরোপুরি ন্যক্কারজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রকাশিত সেই ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে কোনো প্রকারের সাহায্য চেয়েছেন কিনা? সম্প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, আমি এখনো মনে করছি, তারা যদি আদৌ বিষয়টিতে সৎ হয়ে থাকেন তাহলে বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে তদন্ত কাজ শুরু করবেন। যা ভীষণই সহজ একটি উত্তর। তাদের উচিত অবিলম্বে বাইডেনদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা।
আরও পড়ুন : ইরানে বিমান বিধ্বস্তের জন্য মার্কিন যুদ্ধবিমানকে দুষছে রাশিয়া
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের মতো একই রকমভাবে চীনও বাইডেনদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে। কেননা বেইজিংয়ে যা ঘটেছিল তা ইউক্রিশদের সঙ্গেও ঘটতে পারত।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড