আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস চত্বরে তিন দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে রকেটগুলো আঘাত হানে। হামলার পরপরই এলাকাটিতে উচ্চ সতর্কতামূলক সাইরেন বাজতে শোনা যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, চলতি মাসে আরও কয়েক দফায় এলাকাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও হামলাগুলোর জন্য ইরান সমর্থিত দেশটির আধাসামরিক বাহিনীকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো পক্ষই এখনো এসব আক্রমণের দায় স্বীকার করেনি।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার প্রেক্ষিতে গত কিছুদিন যাবত ওয়াশিংটনকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান।
আরও পড়ুন : ইরানে বিমান বিধ্বস্তের জন্য মার্কিন যুদ্ধবিমানকে দুষছে রাশিয়া
অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ভয়াবহ হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
ভিডিওটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড