আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ একে একে দেশে পাঠাচ্ছে ইরান। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ১১টি মরদেহ পৌঁছায়। গত ৮ জানুয়ারি তেহরানের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে করে মরদেহগুলো ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি, প্রধানমন্ত্রী ওলেকসি গোনচারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তেহরানের ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১৭৬ জনের মধ্যে ৮২ জন ইরানের নাগরিক, কানাডার ছিলেন ৫৭ জন, ইউক্রেনের ১১ জন, সুইডেনের ১০, আফগানিস্তানের চারজন এবং তিনজন ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। ইউক্রেনের নিহত ১১ জনের মধ্যে নয়জনই ছিলেন বিমানের ক্রু সদস্য এবং বাকি দুইজন যাত্রী।
মরদেহগুলো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই সেখানকার স্টাফদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) নিহতদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানিকে হত্যার পর থেকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার প্রেক্ষিতে কিছুদিন ধরে ওয়াশিংটনকে পাল্টা হামলার হুমকি দিচ্ছিল তেহরান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, মার্কিন প্রশাসনের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের ‘বোয়িং-৭৩৭’ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।
আরও পড়ুন : ইরানে বিমান বিধ্বস্তের জন্য মার্কিন যুদ্ধবিমানকে দুষছে রাশিয়া
এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড