আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের পরিবহন বিমান ধ্বংসের পর বিপদে পড়া ইরানকে ৩০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে কাতার। চীনা সংবাদমাধ্যম সিনা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলমাজদার নিউজ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের দেওয়া ৩০০ কোটি ডলার থেকে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রত্যেককে ৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার দেবে ইরান। এতে তাদের খরচ হবে ১৫০ কোটি ডলার। বাকি অর্থ দিয়ে নিজেদের সামরিকবাহিনীকে আরও উন্নত করবে তেহরান।
ইরানের স্থল ও নৌবাহিনীর তুলনায় বিমানবাহিনী অনেকটাই দুর্বল। ইরানি বিমানবাহিনীর বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান অনেক পুরনো। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন বিমান কিনতে পারেনি তারা। তবে কাতারের নগদ সহায়তা পাওয়ার পর যুদ্ধবিমান কেনার সুযোগ তৈরি হলো ইরানের।
প্রতিবেদন বলছে, কাতার থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দিয়ে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমান কেনার দিকে এগোচ্ছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বেইজিং থেকে ‘জে-১০ মাল্টি রোল’ যুদ্ধবিমান কিনতে পারে তেহরান। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে ‘সুখোই সু-৩০’ যুদ্ধবিমান কেনার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন : শক্তি বাড়াতে চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমান কেনার পথে ইরান
শক্তিমত্তার দিক থেকে চীনের ‘জে-১০’ যুদ্ধবিমানের চেয়ে রাশিয়ার ‘সুখোই সু-৩০’ অনেক বেশি শক্তিশালী। রাশিয়ার এই যুদ্ধবিমান অনেক বেশি এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। একইসঙ্গে বহন করতে পারে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র। ফলে ইরান তাদের ‘এফ-১৪ হেভি ফাইটার’ যুদ্ধবিমানের পরিবর্তে সুখোই সু-৩০ ব্যবহার শুরু করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের আকাশে ইউক্রেনের একটি পরিবহন বিমান বিধ্বস্তের খবর আসে। শুরুতে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে তেহরান স্বীকার করে যে- ভুলক্রমে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড