আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এ দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের দাবি, সেনাবাহিনী বিষয়টি তাকে এবং প্রেসিডেন্টকে অবগত করেনি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল-জাজিরা’ জানায়, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এক টেলিভিশনে ভাষণে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরও বিস্তর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে জনগণকে সততার সঙ্গে সঠিক তথ্যটি দেওয়া। কেননা জনগণের দুঃখ ঠিক তখনই লাঘব হবে, যখন তারা দেখবে ঘটনাটির দায় আমাদের কেউ স্বীকার করছে।
টেলিভিশনে ভাষণে বিমান বিধ্বস্তের পর বিষয়টি নিয়ে কী কী আলোচনা হয়েছে সবকিছুই জনগণকে জানাতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান রুহানি।
ভারত সফররত ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টেলিভিশন বার্তায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চরম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাকে এবং প্রেসিডেন্টকে ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
জাভেদ জারিফ বিমান বিধ্বস্তের দায় স্বীকার করায় সেনাবাহিনীর সাহসের প্রশংসাও করেন। যদিও সমালোচকদের মতে, ঘটনার তিন দিন পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইরানি সেনারা দায়টি স্বীকার করে।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার প্রেক্ষিতে গত কিছুদিন যাবত মার্কিনিদের পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল তেহরান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপরদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছে। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের ‘বোয়িং-৭৩৭’ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জনের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : একটি নয়, দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে বিমানটিতে (ভিডিও)
ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। যদিও বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যে ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড