আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিবাদে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। যদিও তেহরান সমর্থিত লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ দেখাচ্ছেন ভিন্ন পথ। আরও হামলার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা মাত্র শুরু।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল-জাজিরা’ জানায়, রবিবার (১২ জানুয়ারি) ৯০ মিনিটের এক ভাষণে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ওয়াশিংটনের মুখে ‘চড়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন নাসরুল্লাহ।
তিনি দাবি করেন, এটি ছিল দীর্ঘ পথের প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। যা এই মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের পুরোপুরি বিতাড়িত করবে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আমাদের অঞ্চল থেকে তাদের সেনা, ঘাঁটি, কর্মকর্তা ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিতে হবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে নাসরুল্লাহ বলেন, বিকল্প হলো তারা যদি স্বেচ্ছায় না যেতে চায় তাহলে তাদের বাধ্য করা হবে।
জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যায় মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হিজবুল্লাহর এই নেতা ইরানের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, আমরা কেবল একটি ধাপের কথা বলছি, কোনো নতুন যুদ্ধের কথা বলছি না। যা এই অঞ্চলে নতুন যুগের সূচনা ঘটাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ভীষণ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই হিজবুল্লাহ। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনী মূলত তাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন :- ইরানকে ঠেকাতে ইসরায়েলি মিসাইল কিনছে যুক্তরাষ্ট্র
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যা এখনো বিদ্যমান।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড