• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে যা আছে ইরানের অস্ত্রাগারে

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:২৯
সামরিক মহরা
চলছে সামরিক মহরা (ছবি : রয়টার্স)

এই মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যদি যুদ্ধ লেগেই যায়, তাহলে কী ঘটতে পারে? আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চলমান পরিস্থিতির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্বেগের বিষয় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা। উপসাগরীয় অঞ্চলে দেশ দুটির সমসাময়িক কার্যক্রমে সমগ্র বিশ্ব এক যুদ্ধাতঙ্কে রয়েছে।

গত বছর ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত হলে উত্তেজনা চরম মাত্রায় পৌঁছায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতারাতিই ইরানে হামলার অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও হামলার আগেই সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসায় তখন আর কোনো যুদ্ধ দেখেনি বিশ্ব।

এবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ফের অঞ্চলটিতে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে সত্যিই যদি যুদ্ধ লাগে তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটির সঙ্গে লড়াই করতে ইরান কতটা সক্ষম বা তাদের অস্ত্রাগার কতটা সমৃদ্ধ। যা মার্কিনিদের কাছে একটা আতঙ্ক, সেই বিষয়টি নিয়েই এই প্রতিবেদন।

মার্কিন হামলার প্রতিশোধ নিতে কতটা সক্ষম ইরান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইরানের সামরিক সক্ষমতা কতটুকু? সম্প্রতি প্রকাশিত ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ইরানের অভ্যন্তরীণ ধোঁয়াশাপূর্ণ অস্ত্রাগার ও সেনাবাহিনী এই যুদ্ধে আসলে দেশটিকে কী পরিমাণ সহায়তা দিতে পারবে?

যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে যা আছে ইরানের অস্ত্রাগারে

ইরানি মিসাইল (ছবি : ওয়াশিংটন টাইমস)

এশিয়া অঞ্চলের সামরিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষক মিগুয়েল মিরান্ডা ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, ইরানের দুইটি সামরিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে আর্টেশ বা নিয়মিত সশস্ত্র বাহিনী, যাতে রয়েছে সেনা, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং তারপরে আসবে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসি। এই দলটির রয়েছে নিজস্ব কমান্ড এবং সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর ক্রিয়াকলাপের জন্য ইরানের এই বিপ্লবী গার্ডকেই বিবেচিত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশটির এখন একটি রঙিন ও বাহারি অস্ত্রাগার রয়েছে। যদিও এর অধিকাংশই পুরাতন তবে এগুলো বেশ কার্যকরী। তাদের নিয়মিত বাহিনীর সমরাস্ত্র সম্পর্কে চিন্তা করলে প্রথমেই মাথায় আসবে পুরনো সিএইচ-৪৭ চিনুক হেলিকপ্টার এবং এম ৬০ প্যাটন ট্যাংক।

বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯০ সাল থেকে ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সামরিক শিল্প খাতটি চারটি বিশেষ অঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রগতি অর্জন করে। বর্তমানে দেশটি ছোট ও হালকা অস্ত্র, আর্টিলারি এবং মনুষ্যহীন অস্ত্র সিস্টেমের ক্ষমতা অর্জন করেছে। যা ইসরায়েল ও তুরস্কের পাশাপাশি ‘আঞ্চলিক নেতা’ হিসেবে তাদেরও পরিচিতি বাড়িয়েছে। দেশটির রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য নির্দেশিত শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ইরান প্রজেক্টের পরিচালক আলী এক ভয়েজ ইমেইলে জানান, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইরানবিরোধী জনবল, অংশীদার ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। তারা যে কোনো সময় ইরানের মাটিতে সরাসরি হামলা চালাতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রকে রুখতে যা আছে ইরানের অস্ত্রাগারে

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) (ছবি : আল-জাজিরা)

তিনি বলেন, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাকে একটি দ্রুত, সস্তা বা সহজ সামরিক অভিযান মনে করা আমাদের জন্য বড় ভুল হবে। কখনো এমন যুদ্ধ বাঁধলে উভয় পক্ষেরই ব্যাপক রক্তপাত ও ধন-সম্পদের ক্ষতিসহ তাদের নিজ নিজ জোটের সঙ্গে জড়িত আঞ্চলিক দেশগুলোর ক্ষতি হবে।

ইরান প্রজেক্টের পরিচালকের মতে, এই যুদ্ধের ফলে বিশ্বে একটি বড় সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে, যাকে আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও বলতে পারি।

আরও পড়ুন :- যে অস্ত্র দিয়ে সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সেই অভিযানে ইরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড