আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো। এরই মধ্যে বিষয়টির ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের পক্ষে সাফাই গাইলেন সাবেক এই সেনাপ্রধান।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পারভেজ মুশাররফ বলেছেন, ‘আমি ভুক্তভোগী (ভিকটিমাইজ) হয়েছি। রায়টি এখনো পুরোপুরি শুনিনি। তবে আমি যে ন্যায়বিচার পাচ্ছি না, সেটি আগে থেকেই জানতাম। আমার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের বিশেষ আদালত যখন সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন, তখন হাসপাতালের বিছানায় ছিলেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় মুশাররফ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
আদালতের প্রতি আস্থাহীনতা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘আমি টানা ১০ বছর পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। সবসময় দেশের জন্য লড়াই করেছি। আমি ভুক্তভোগী, আদালত আমার প্রতি অন্যায় করেছেন।’
বিশ্লেষকদের মতে, কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাক প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন পারভেজ মুশাররফ। দেশে জরুরি অবস্থা জারি, অনৈতিকভাবে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টোকে হত্যা ও লাল মসজিদে তল্লাশি অভিযানসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন :- মুশাররফের মৃত্যুদণ্ডে চটেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অযথাই পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির বিশেষ আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিতর্কিত এই মামলাটির রায় আদালতে ঝুলে ছিল।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড