আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বিশেষ আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো। এরই মধ্যে বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
পাক সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সাবেক জেনারেল (অব.) মুশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একরকম ‘হুমকি’।
গণমাধ্যম ‘দ্য ডনের’ প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আদালতের এই রায় ঘোষণার পর রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসেন। মূলত এরপরই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতিটি দেওয়া হয়। বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পারভেজ মুশাররফ পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট, যিনি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত দেশের সেবা করেছেন। তিনি কোনোভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না। রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে মুশাররফের এই মৃত্যুদণ্ড পাক সশস্ত্রবাহিনীর পদমর্যাদার জন্য প্রচণ্ড কষ্টকর একটি বিষয়।’
তাছাড়া মুশাররফের রায় নিয়ে বিবৃতিতে আদালতের বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তোলা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাক প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন পারভেজ মুশাররফ। দেশে জরুরি অবস্থা জারি, অনৈতিকভাবে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টোকে হত্যা ও লাল মসজিদে তল্লাশি অভিযানসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মামলায় বর্তমানে পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন :- মুশাররফের ফাঁসির বিরুদ্ধে রিভিউ করবে ইমরানের সরকার
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অযথাই পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির বিশেষ আদালতে মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিতর্কিত এই মামলাটির রায় আদালতে ঝুলে ছিল।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড