• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মিয়ানমারকে কাঠগড়ায় তোলা গাম্বিয়াকে কতটুকু চেনেন?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২৯
গাম্বিয়া
গাম্বিয়ার রাজধানী বাঞ্জুল, ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া। সেই মামলার শুনানি চলেছে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুনানি শুরু হওয়ার পর বিশ্বের প্রভাবশালী সব সংবাদ মাধ্যমে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়টি নতুন করে উঠে আসে। একই সঙ্গে আলোচনায় আসে গাম্বিয়াও।

মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোয় গাম্বিয়ার প্রশংসা করছেন বাংলাদেশি অনেকেই। কিন্তু এই গাম্বিয়াকে আমরা কতটুকু চিনি?

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার অফিসিয়াল নাম রিপাবলিক অব দ্য গাম্বিয়া। এই দেশটির প্রায় পুরোটাই সেনেগাল দিয়ে ঘেরা। অর্থাৎ, গাম্বিয়ার তিন দিকে সেনেগাল এবং এক দিকে আটলান্টিক মহাসাগর। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে ছোট দেশ, যা দেখতে অনেকটা নদীর মতো। ২০১৩ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, গাম্বিয়ায় মোট জনসংখ্যা ১৮ লাখ ৫৭ হাজারের কিছু বেশি।

গাম্বিয়ায় গাম্বি নামের একটি নদী আছে। এই নদী থেকেই দেশের নাম গাম্বিয়া হয়। মূলত নদীটির দুই পাড়েই গাম্বিয়ার বিস্তৃতি। গাম্বিয়ার রাজধানীর নাম বাঞ্জুল। এই দেশ প্রথম পর্তুগালের অধীনে ছিল। এরপর সেখানে শাসন করেছে ইংরেজরা। ১৯৬৫ সালে দাওয়াদা জাওয়ারার নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করে পশ্চিম আফ্রিকার এই অঞ্চল।

গাম্বিয়ার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি নির্ভর। দেশটির বেশিরভাগ মানুষ কৃষি এবং মৎস্য পেশায় জড়িত। এছাড়া বর্তমানে গাম্বিয়ার অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। দেশটির ৯৬ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

১৯৬৫ সালে স্বাধীন হলেও ১৯৭০ সালে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয় গাম্বিয়া। কিন্তু এভাবে বেশিদিন যায়নি। ১৯৮১ সাল থেকেই সরকার হটানোর উদ্দেশে একের পর এক অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্র চলতে থাকে দেশটিতে।

অবশেষে ১৯৯৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে গাম্বিয়ার ক্ষমতা দখলে নেন সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া জাম্মেহ। দীর্ঘ ২২ বছর পর ২০১৭ সালে একনায়ক ইয়াহিয়া জাম্মেহর শাসন থেকে মুক্ত হয় এ দেশ।

ইয়াহিয়ার শাসনামলেও একের পর এক নৃশংসতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় জাম্বিয়াকে। সামরিক ওই জান্তার বিরুদ্ধে অনেক মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিচারের ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে সেখানে।

আরও পড়ুন : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘অযোগ্য’

২০১৭ সালে ইয়াহিয়াকে পরাজিত করে অ্যাদামা ব্যারো গাম্বিয়ার তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হন। সেই সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবু বকর এম তাম্বাদৌ। এই তাম্বাদৌ-ই গাম্বিয়ার হয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা করেছেন।

রোহিঙ্গাদের মতো গাম্বিয়াবাসীও অনেকবার নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে। এ কারণেই হয়তো রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে তারা। গাম্বিয়ার এ মামলার কারণেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভূমিকা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

ওডি/ডিএইচ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড