• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আন্তর্জাতিক আদালতে শেষ দিনের শুনানি শুরু

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৬
মিয়ানমার-রোহিঙ্গা
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, ছবি : সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে শেষদিনের শুনানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় এই শুনানি শুরু হয়।

শেষদিনের শুনানিতে গাম্বিয়ার আইনজীবীরা আদালতে উত্থাপিত মিয়ানমারের যুক্তিগুলো খণ্ডন করবেন এবং তাদের সমাপনী বক্তব্য দেবেন। এ সময় তারা মিয়ানমারকে সম্পূর্ণ দোষী সাব্যস্ত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে শুনানির দ্বিতীয় দিন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির নেতা অং সান সু চি। সু চি দাবি করেন, রাখাইন রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলাকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গা ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। আর এ বিষয়টিকে কোনোভাবেই গণহত্যা মানতে রাজি নন সু চি।

জাতিসংঘের আদালতে বিচারকদের উদ্দেশে সু চি বলেন, রাখাইনে সেনা অভিযানে যা ঘটেছে, তা গণহত্যার সংজ্ঞার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যে কারণে জাতিসংঘের আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলা কেবলই ভুল দিককে নির্দেশ করছে।

সু চি রাখাইন পরিস্থিতিকে ‘জটিল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ‘দুর্ভোগের’ বিষয়টি স্বীকার করে জানান, রাখাইন রাজ্যের অনেকেই সুরক্ষার জন্য পাশের দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালের সামরিক অভিযানকে বার বার ‘অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন মিয়ানমারের এই নেতা। এ সময় তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিকবাহিনী স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাব দিচ্ছিল।

আন্তর্জাতিক আদালতে মঙ্গলবার প্রথম দিনের শুনানিতে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি অং সান সু চি।

প্রথম দিনের শুনানিতে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদৌ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, মিয়ানমারকে এ রকম নির্দয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বলুন। তাদের বর্বরতা বন্ধ করতে বলুন, যা আমাদের সবার বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। মিয়ানমারকে তাদের নিজেদের লোকদের ওপর গণহত্যা চালানো বন্ধ করতে বলুন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিশাল সামরিক অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এতে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ওই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মূলত এই অভিযান নিয়েই ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানি চলবে।

ওডি/ডিএইচ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড