আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। অথচ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ কোনো মামলা করেনি। এটি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের শুনানিতে মিয়ানমারের আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলেছেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ে মামলা করায় গাম্বিয়াকে নামমাত্র অভিযোগকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন মিয়ানমারের আইনজীবী ক্রিস্টোফার স্টকার। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আদালতে গাম্বিয়া আবেদন করলেও মূলত আবেদনটি করেছে ইসলামি সহযোগী সংস্থা (ওআইসি)। মামলার অর্থায়ন করছে ওআইসি।
ক্রিস্টোফার স্টকার বলেন, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের পদক্ষেপে যদি কোনো দেশ সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, সেটা হওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু মিয়ানমারের ওপর গাম্বিয়া ক্ষুব্ধ কেন? এই ঘটনায় তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নয়। গণহত্যার প্রশ্নে অন্য যেসব দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে, তারা সবাই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ শুনানির দ্বিতীয় দিনে স্টকার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ওআইসির ঢাকা ঘোষণায় ‘গণহত্যা বিশেষণ’ ব্যবহার করা হয়নি। এতে জাতিগত নির্মূলের কথা বলা হয়েছে।
এ দিকে গণহত্যা সনদের যে ব্যাখ্যা গাম্বিয়া দিয়েছে, তা যথার্থ নয় বলে দাবি করেছেন মিয়ানমারের আরেক আইনজীবী অধ্যাপক সাবাস। জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এবং গণহত্যার প্রশ্নে সার্বিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া মামলার রায়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাম্বিয়া ওই মামলার রায়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছে। ওই সব মামলায় গণহত্যা সনদের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে গাম্বিয়ার দাবি সংগতিপূর্ণ নয়।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড