আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চিকিৎসকদের সবচেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ভারতের উন্নাওয়ের নির্যাতিত সেই তরুণী। এই মৃত্যু নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত উত্তর প্রদেশসহ ভারতের জাতীয় রাজনীতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তর প্রদেশের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। সরব হয়েছেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। শনিবার সকালেই উন্নাওয়ের নির্যাতিত তরুণীর বাড়িতে যান প্রিয়াঙ্কা। সেখানে ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটান তিনি।
মারা যাওয়া ওই তরুণী তার ধর্ষণ মামলার শুনানিতে অংশ নিতে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক তাকে আক্রমণ করে এবং পাশের একটি মাঠে নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নয়াদিল্লি নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি।
এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে জড়িত তাই অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন রাজ্যে অপরাধীদের জন্য কোনো জায়গা নেই। তবে তিনি নিজেই রাজ্যের এ কী হাল বানিয়েছেন? আমার মনে হয়, এখানে নারীদের জন্য কোনো স্থান নেই। এ রাজ্যের অপরাধীরা আইনকেও ভয় পায় না।’
গত এক বছর ধরে নির্যাতিত ওই তরুণী ও পরিবারকে ভয় ও হুমকির শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের কিছু করা উচিত।’
এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ন্যায় ও নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে করতে আরও এক মেয়ের মৃত্যু হলো।’
কেরালায় এক জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিশ্বের কাছে ধর্ষণের রাজধানী ভারত। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রশ্ন, কেন ভারত নিজের মেয়ে-বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তর প্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণে অভিযুক্ত অথচ প্রধানমন্ত্রী একটা শব্দও বললেন না।’
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড