আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে প্রকাশ্য শুনানি চলছে। যদিও এরই মধ্যে শুনানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সোন্দল্যান্ডের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘অভিশংসনের শুদ্ধি অভিযান আসলে শেষ।’
এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) শুনানিতে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন রাষ্ট্রদূত সোন্দল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই আমি ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’
সোন্দল্যান্ড মূলত একজন ধনী ব্যবসায়ী এবং ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক। এদিন প্রতিনিধি পরিষদের কমিটির সামনে শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইউক্রেনকে সহায়তার বিষয়ে অবগত ছিলেন। এমনকি এতে তার পূর্ণ সমর্থনও ছিল। আমি ট্রাম্পের নির্দেশেই আমার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলানির সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে কাজ করেছি।’
শুনানিতে সাক্ষ্য প্রদানের সময় সোন্দল্যান্ড জানান, তিনি ট্রাম্পেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি আসলে কি করতে চান। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মূলত কিছুই চাই না। বিনিময়ে কিছুই না। আপনি শুধু জেলেনস্কিকে সঠিক কাজটি করতে বলেন।’
এ দিকে নিজের টুইট বার্তায় ট্রাম্প মূলত সেই বক্তব্যকেই সামনে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে এমন বক্তব্যের পর আর কোনো শুনানি থাকতে পারে না।’
তুর্কি বার্তা সংস্থা ‘আনাদোলু এজেন্সি’ জানায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের সেই ফোনকল ফাঁস হওয়া মাত্রই ঝড় উঠে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে এক রকম চাপ প্রয়োগ করছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও সেই ফোনকলের অনুলিপি পরবর্তীকালে গোপন করতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস। তবে শেষ রক্ষা হলো না তাদের।
অপর দিকে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। যাদের মধ্যে হোয়াইট হাউসের ইউক্রেন বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল অ্যালেক্সান্ডার ভিন্ডম্যান এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সহযোগী জেনিফার উইলিয়ামসও ছিলেন।
ইউক্রেন বিষয়ক মার্কিন কর্মকর্তা অ্যালেক্সান্ডার ভিন্ডম্যান বলেছিলেন, ‘গত ২৫ জুলাইয়ের সেই ফোনালাপ শোনার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিলাম। এতে আমি যা শুনেছি তা যথার্থ ছিল না। হোয়াইট হাউসের আইনজীবীদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজ দেশের একজন নাগরিক এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিদেশি সরকারের কাছে দাবি জানাবেন; এটা ভীষণই অপমানজনক।’
আরও পড়ুন :- ‘ফোনালাপে অস্বাভাবিক ছিলেন ট্রাম্প’
চলতি শুনানিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক সহযোগী জেনিফার উইলিয়ামস বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কাছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের প্রতি ট্রাম্পের এই আহ্বানকে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। কেননা, এটি একটি ঘরোয়া রাজনৈতিক বিষয়।’
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড