• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪২
বিক্ষোভে উত্তাল হংকং
হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ (ছবি : সম্পাদিত)

ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের দেশ হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন ক্রমশ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যার অংশ হিসেবে দেশটির পুলিশ এরই মধ্যে শহরটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। যদিও থেমে নেই আন্দোলনকারীরাও।

পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা একের পর এক তীর ও পেট্রল বোমা ছুড়ে মারছেন। আন্দোলনরতদের ছোড়া তীরের আঘাতে এরই মধ্যে হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যোগাযোগ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, অবিলম্বে তারা যদি এসব অস্ত্র ছোড়া বন্ধ না করে তাহলে পুলিশের পক্ষ থেকেও গোলাবারুদ ব্যবহার করা হবে।

সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ জানায়, গত কয়েক মাস যাবত চলা সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে হংকং শহরে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন শুরুর পর থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন এ অঞ্চলটি সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

হংকং পুলিশ এরই মধ্যে উগ্রবাদী আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করেছে। তাছাড়া পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন থামাতে তারা এখন পর্যন্ত টিয়ার গ্যাস এবং জল কামান ব্যবহার করেছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলেও আন্দোলনকারীরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। যার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভরতদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। যে কারণে পরদিন সোমবার সকালেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে।

পুলিশের মুখপাত্র লুইস লাও এক ঘোষণায় বলেন, ‘আমরা দাঙ্গাকারীদের সাবধান করতে চাই। তারা যেন পেট্রল বোমা, তীর ছোড়া, গাড়ি কিংবা অন্য কোনো মারণাস্ত্র দিয়ে পুলিশ সদস্যদের আঘাত না করে। এরপরও তারা যদি এমনটা করে তাহলে আমরাও পাল্টা আঘাত স্বরূপ গুলি চালাতে বাধ্য হব।’

প্রায় ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের অধীনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অঞ্চলটি শক্তিশালী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক এই দিবসটির ২২ বছর পূর্তিতে চলতি বছরের একই দিনে আন্দোলনে সড়ক অবরোধ করেন গণতন্ত্রকামী লোকজন।

প্রতি বছরের এই দিনে কর্মকর্তারা এক দিকে সরকারি ভবনগুলোতে উৎসব পালন করেন আর অপর দিকে গণতন্ত্রকামীরা রাজপথে অবস্থান নেন।

দীর্ঘদিন যাবত হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয় দেশটি। এর আগে গত কয়েকমাস আগেও চীনপন্থি এক বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের এই দেশ।

মূলত চীন এবং তাইওয়ানে আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে তখন গোটা দেশে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ দাঁড়ায় চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে।

আরও পড়ুন :- হংকংয়ের সড়কে হঠাৎ চীনা সেনাবাহিনীর টহল

বেইজিংয়ের দুর্বল আইন ব্যবস্থা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডের কারণে হংকংয়ের সাধারণ মানুষ সেখানে কাউকে ফেরত পাঠাতে চাইছেন না। তাদের মতে, পার্লামেন্টে বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে চীনা হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড