• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হংকংয়ের সড়কে হঠাৎ চীনা সেনাবাহিনীর টহল

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১১:১১
হংকংয়ে চীনের সেনাবাহিনী
হংকংয়ের সড়ক পরিষ্কার করছেন চীনের সেনা সদস্যরা (ছবিসূত্র : ইউএস নিউজ)

ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের দেশ হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন ক্রমশ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যে কারণে সড়ক থেকে বিক্ষোভরতদের সরিয়ে দেওয়া এবং বন্ধ রাখা রাজপথগুলো পুনরায় খোলার জন্য নিজেদের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছে প্রতিবেশী চীনা। যদিও সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এতে করে উত্তেজনা আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে।

কর্তৃপক্ষের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির অনেক সদস্যই এরই মধ্যে হংকংয়ে অবস্থান করছেন। তারা টি-শার্ট এবং শর্টস পরে নিজেদের ব্যারাক থেকে হংকং ব্যাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের দমনে এরই মধ্যে একটি ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে।

গত ২২ বছরে হংকংয়ের রাজপথে শুধু একবারই চীনা সেনাবাহিনীকে নামতে দেখা গেছে। সেটা হলো গত বছর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা তাদের ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও এবার টানা পাঁচ মাস যাবত চলা আন্দোলনের কারণে দেশটিতে বেশ কয়েকবার চীনা হস্তক্ষেপের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।

হংকংয়ে এমনিতেই পিএলএর প্রায় ১২ হাজারের অধিক সেনা অবস্থান করছেন। যদিও স্থানীয় সরকার চাইলে কেবল তাদের মাত্র ত্রাণ কাজ পরিচালনা এবং শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করতে পারে।

প্রায় ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের অধীনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অঞ্চলটি শক্তিশালী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ঐতিহাসিক এই দিবসটির ২২ বছর পূর্তিতে চলতি বছরের একই দিনে আন্দোলনে সড়ক অবরোধ করেন গণতন্ত্রকামী লোকজন।

প্রতি বছরের এই দিনে কর্মকর্তারা এক দিকে সরকারি ভবনগুলোতে উৎসব পালন করেন আর অপর দিকে গণতন্ত্রকামীরা রাজপথে অবস্থান নেন।

দীর্ঘদিন যাবত হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল থেকে অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয় দেশটি। এর আগে গত কয়েকমাস আগেও চীনপন্থি এক বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ইউরেশিয়ার দক্ষিণপূর্ব উপকূলের এই দেশ।

মূলত চীন এবং তাইওয়ানে আসামি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে তখন গোটা দেশে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ দাঁড়ায় চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে।

আরও পড়ুন :- বিক্ষোভে উত্তাল ইরানে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

বেইজিংয়ের দুর্বল আইন ব্যবস্থা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ডের কারণে হংকংয়ের সাধারণ মানুষ সেখানে কাউকে ফেরত পাঠাতে চাইছেন না। তাদের মতে, পার্লামেন্টে বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে চীনা হস্তক্ষেপের সুযোগ অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড