• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অযোধ্যা রায়ের পর শঙ্কায় তাজমহল ও কাশী-মথুরার মসজিদ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩৯
ভারত
মথুরার শাহী ইদগাহ মসজিদ ও আগ্রার তাজমহল (ছবি : সম্পাদিত)

অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির তৈরির পক্ষে গত শনিবার (৯ নভেম্বর) রায় দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। রায় ঘোষণার পর থেকেই সর্বত্র চলছে তীব্র সমালচনা। এর কারণ অনেকগুলো বিতর্কিত বিষয়ের সুস্পষ্ট কোনো উত্তর না দিয়েই ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

এ দিকে বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই কাশী-মথুরা-আগ্রাতে ঘনিয়ে উঠেছে নতুন আশঙ্কার মেঘ। কারণ ওই রায় সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, ভারতের আরও নানা জায়গায় যে সব ‘বিতর্কিত ধর্মীয় স্থাপনা’ রয়েছে সেগুলোর ওপর এই রায়ের কী প্রভাব পড়বে?

কাশী ও মথুরার মতো তীর্থস্থানে মসজিদ সরিয়ে ফেলে পার্শ্ববর্তী মন্দিরকে যাতে পুরো জায়গাটা দিয়ে দেয়া হয়, সেই দাবিতে অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছে ভারতের উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো। শুধু তাই নয়, এসব সংগঠনের দাবি, বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহলও তৈরি হয়েছে প্রাচীন এক শিবমন্দিরের ওপর। এমন দাবির মুখে কী অপেক্ষা করছে তাজমহল ও কাশী-মথুরার মসজিদের মতো স্থাপনাগুলোর ভাগ্যে- সেই প্রশ্ন অনেকের মনে।

বাবরি মসজিদ মামলার রায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই এসব স্থাপনাগুলো অক্ষত থাকবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ভারতে ১৯৯১ সালে ‘ধর্মীয় উপাসনালয় আইন’ পাস হয়। এই আইনও সেই শঙ্কা দূর করতে পারছে না।

এ বিষয়ে ‘বিবিসিকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ইতিহাসবিদ মৃদুলা মুখার্জি বলেন, ধর্মীয় উপসনালয় আইনে শুধু ছাড় দেওয়া হয়েছিল রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্ককে। কারণ সেটা নিয়ে তখন আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। এতে স্পষ্ট করেই উল্লেখ আছে, অযোধ্যা ছাড়া ভারতের অন্য সব ধর্মীয় স্থানে যেভাবে এখন উপাসনা চলছে, সেভাবেই চলবে। আর সেটা কিছুতেই বদলানো যাবে না।

এরপর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ এই অধ্যাপক যোগ করেন, তবে আমরা এটাও জানি যে, রাজনীতি অন্য জিনিস। রাজনীতিবিদরা আইনকানুনের ধার ধারেন না। ফলে বিজেপি, আরএসএস বা তাদের সমমনা অন্যান্য কট্টর সংগঠনগুলো এই অযোধ্যা রায়কে যে কীভাবে কাজে লাগায়, সে আশঙ্কা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে।

ড. মৃদুলা মুখার্জি মনে করেন আন্তর্জাতিক মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় তাজমহলে হয়তো তারা এখনই হাত দেবে না। তবে এলাহাবাদ বা মুঘলসরাইয়ের নাম বদলের মতো ছোট ছোট পদক্ষেপে তাদের ‘দৈনন্দিন সাম্প্রদায়িকতা’ কিন্তু থেমে নেই।

তিনি জানান, এই যে হঠাৎ করে এলাহাবাদ শহরের নাম বদলানো হলো কিংবা মুঘলসরাই স্টেশনের নাম রাখল বিজেপি-জনসংঘের তাত্ত্বিক নেতার নামে - এই ধরনের পদক্ষেপ কিন্তু তারা নিতেই থাকবে।

ওডি/এসসা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড