• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অযোধ্যার বাইরে নয়, অধিকৃত অঞ্চলেই জমি চান মুসলিমরা

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৩২
বাবরি মসজিদ
পুলিশি নিরাপত্তায় অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির প্রাঙ্গণ (ছবিসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে)

ভারতের বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির নিয়ে করা মামলার রায় এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর দেওয়া ঐতিহাসিক এই রায়ে বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ জমি রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই।

সেক্ষেত্রে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে মুসলিমদের জন্য আলাদা পাঁচ একর জমি প্রদানের নির্দেশও দেওয়া হয়। মুসলমানদের সেই জমি নিয়ে এরই মধ্যে দোটানায় পড়েছে রাজ্য সরকার। কেননা অযোধ্যায় অধিকৃত ৬৭ একর থেকেই এবার জমি দাবি করেছে মুসলিমরা। যদিও শহরটির ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো মসজিদই চায় না স্থানীয় হিন্দুরা।

সর্বোচ্চ আদালত থেকে এই রায় ঘোষণার পর মসজিদের জন্য পৃথক জমির খোঁজ শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্যের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তবে শেষমেশ এই জমি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা।

ঐতিহাসিক এই মামলার অন্যতম প্রধান পক্ষ ইকবাল আনসারির দাবি, সুবিধামতো অযোধ্যায় অধিকৃত ৬৭ একরের মধ্যেই জমি দিতে হবে। তাহলেই মুসলিমরা এই জমি নিবে, নয়তো তারা এই প্রস্তাব মানবে না। এবার শুধু ইকবালই নয়, একে একে অযোধ্যার অনেক মুসলিম বাসিন্দাই এমন দাবি করতে শুরু করেছেন।

যা নিয়ে কিছুটা ক্ষোভের সুরে মামলার অন্যতম পক্ষ হাজি মেহবুব বলেছেন, ‘আমরা সরকারের দেওয়া এই ললিপপ নিতে চাই না। কেননা আগে তাদের স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, তারা আমাদের ঠিক কোথায় জমি দিতে চায়।’

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈইয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের একটি যৌথ বেঞ্চ অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি সম্পন্ন করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সে সময় আর রায় ঘোষণা করা হয়নি।

যদিও তখন থেকেই গুঞ্জন উঠছিল আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরে যেতে পারেন রঞ্জন গগৈই। যে কারণে এর আগেই যে কোনো দিন ঐতিহাসিক এই মামলাটির রায় হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। মূলত এসব বিষয় বিবেচনা করেই অতি স্পর্শকাতর মামলার রায় ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসন।

এ দিকে গত ৮ নভেম্বর রাতে প্রধান বিচারপতি গগৈই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গেও তার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মূলত সেই বৈঠকেই গগৈই অন্য বিচারকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার সিদ্ধান্তটি নেন।

আরও পড়ুন :- বাবরি মসজিদ ইস্যুতে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এবার ৯০ জনকে গ্রেফতার

অপর দিকে বিতর্কিত এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজ্যটিসহ গোটা ভারতে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য এরই মধ্যে গোটা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সব রাজ্যে বিশেষ সতর্কতাও জারি করতে বলা হয়েছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড