আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে চলতে থাকা বাবরি মসজিদ নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যর যৌথ বেঞ্চ বিরোধপূর্ণ জায়গাটি নিয়ে রায় প্রদান করে। যদিও এই রায় নিয়ে শুধু ভারতই নয়, বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়। এমনকি সাবেক বেশ কয়েকজন বিচারপতিও রায়ের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেন, মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণের কোনো যুক্তি নেই। এছাড়া মসজিদের নিচে আগে মন্দির ছিল দাবি করে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটিকেও সম্পূর্ণ বানোয়াট হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক।
বাবরি মসজিদের জায়গা নিয়ে এত জটিলতা থাকলেও শনিবার এটিকে হিন্দুদের কাছে তুলে দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ। এর পর থেকেই মূলত গগৈয়ের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বলছেন, গগৈ এমন উগ্রবাদী না হলেও পারতেন। আবার কেউ একধাপ এগিয়ে বলছেন, অসন্তোষ তৈরি করাই যেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের শখ।
অসন্তোষ তৈরির পেছনে গগৈকে কারিগর বলার কারণ হলো, আসামে জন্মেও অঞ্চলটির বিতর্কিত ‘নাগরিকপঞ্জি’ বা এনআরসি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি, যে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অন্তত ১৯ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা। নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়াদের স্থান হবে বন্দিশিবিরে। সেখানে নিজ দেশের ভেতরেই মানবেতর জীবন-যাপন করবে তারা।
নিজ অঞ্চলের মানুষদের এভাবে বিপদে ঠেলে দেওয়া রঞ্জন গগৈ তখন থেকেই সমালোচিত হয়ে আসছেন। এরপর সর্বশেষ বাবরি মসজিদ মামলায় আরও এক বিতর্কিত রায় দিলেন। ফলে তার এই অসন্তোষ তৈরির মানসিকতা এবং উগ্রবাদী চিন্তাধারা সবার মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগও ছিল। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এক কর্মী তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। ওই নারী অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টে কাজ করার সময় তাকে যৌন নির্যাতন করেন গগৈ। অবশ্য শুরুতে এই অভিযোগের কারণে বিপদে পড়লেও শেষ পর্যন্ত এটি ভালোভাবেই সামাল দেন এবং নিষ্পত্তি করেন তিনি।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড