আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সাতজন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
নিহত ৭ জনের মধ্যে একজন কলকাতায়, একজন পূর্ব মেদিনীপুর ও পাঁচজন বসিরহাটে বুলবুলের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন। দেয়াল ধসে পড়ে, গাছ চাপা পড়ে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই সাতজন মারা গেছে।
রাজ্যেটির বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে সাত হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। নয় হাজার গাছ ভেঙেছে। ৯৫০টি মোবাইল ফোনের টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। কলকাতা-হাওড়া নৌরুটে এখনো ফেরি চলাচল বন্ধ রেখে কর্তৃপক্ষ।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খবর নিতে রবিবার সকালের দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় মমতাকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন মোদী। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রথম আঘাত হানে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বকখালিতে। তবে সুন্দরবনের কারণে অসংখ্য মানুষ এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
আলীপুর আবহাওয়া জানায়, কলকাতাসহ রাজ্যের সাতটি জেলায় রবিবার সারা দিনই বুলবুলের প্রভাব থাকবে। বকখালি, দিঘা, তাজপুর ও মন্দারমণিসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বকখালি ও দিঘায় বহু পর্যটক আটকে পড়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড