আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার ইতি টেনে অবশেষে ঘোষণা করা হয়েছে বহুল আলোচিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার রায়। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শনিবার (৯ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। যেখানে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ ভেঙে রাম-মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছেন তারা। তবে বাবরি মসজিদের নিচে মন্দিরের অস্ত্বিত্ব থাকার কথা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আগেই গণমাধ্যেমে জানিয়েছিলেন ভারতীয় দুই প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ। তাই আদালতের রায় নিয়ে সর্বত্র চলছে তীব্র সমালোচনা।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুপ্রিয় ভার্মা ও জয়া মেনন নামের দুই প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ বলেন, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর (এএসআই) বাবরি মসজিদের নিচে রাম-মন্দিরের অস্তিত্ব থাকা নিয়ে আদালতের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে সুপ্রিয় ভার্মা ও জয়া মেনন নামের এই দুই প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ বেশ জোরের সঙ্গেই দাবি করেন, হাজারবার খুঁড়েও ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের নিচে মন্দির থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাফিংটন পোস্টের করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যেখানে বাবরি মসজিদ ছিল সেখানে খননকাজ চালায়। পরবর্তীকালে মসজিদের নিচে তিনটি রাম-মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে এলাহাবাদ হাইকোর্টকে জানায় তারা।
তবে সুপ্রিয় ভার্মা ও জয়া মেননের দাবি, ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই ব্যাপারে হাইকোর্টের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল।
সুপ্রিয় ভার্মার ভাষায়, বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকায় খননকাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের বেশ চাপের মধ্যে থেকেই কাজ করতে হয়েছে। মন্দিরের পক্ষে কথা বলতে একপ্রকার বাধ্য করা হয় তাদের। মূলত চাপে পড়েই মন্দিরের অস্তিত্ব থাকা বিষয়ে ভুল ও বানোয়াট তথ্য দেয় খননকাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞরা।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড