• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাবরি মসজিদ রায় : এক নজরে উল্লেখযোগ্য দিকগুলো

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫০
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে সংবাদ সংগ্রহ করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা (ছবিসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে)

ভারতের বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ও রাম মন্দির নিয়ে করা মামলার রায় এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ জমি রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সেক্ষেত্রে নতুন একটি মসজিদ নির্মাণে আলাদা বিকল্প কোনো জমি বরাদ্দের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং এস আব্দুল নাজির। খবর ‘এনডিটিভির’।

কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার পত্রিকার’ প্রতিবেদনে বিতর্কিত বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির নিয়ে করা মামলার চূড়ান্ত রায়ের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয় :-

• বিকল্প জমি পাবে মুসলিমরা

• ভিতরের এবং বাইরের জমি তুলে দেওয়া হবে ওই ট্রাস্টের হাতে

• কেন্দ্রকে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়

• শর্তসাপেক্ষে মূল বিতর্কিত জমি পাবে হিন্দুরা

• সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অধিকার দাবি করতে পারে না

• আইনি ভিত্তিতেই জমির মালিকানা স্থির করা উচিত

• বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা ঠিক করা সম্ভব নয়

• তবে কাঠামো থেকেই কোনো দাবি করা যায় না

• হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এখানেই রামের জন্মভূমি ছিল

• কারও বিশ্বাস যেন অন্যের অধিকার না হরণ করে: রঞ্জন গগৈ

• তবে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) এ কথা বলেনি, বাবরি মসজিদের নিচে মন্দিরই ছিল

• এএসআইর খননের ফলে যে সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, সেগুলি নন ইসলামিক

• এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় যুক্তিযুক্ত ছিল

• মসজিদের নিচে কাঠামো ছিল, ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরি মসজিদ, বললেন প্রধান বিচারপতি

• নির্মোহী আখড়ার দাবিও খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

• কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, রায়ে বললেন প্রধান বিচারপতি

• বাবরের সহযোগী মির বাকি মসজিদ তৈরি করেছিলেন, বললেন প্রধান বিচারপতি

• সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের অনুরোধ

প্রধান বিচারপতি তার রায় ঘোষণায় বলেছেন, 'এই রায় সম্পূর্ণ ঐক্যমত্যের একটি রায়। তবে মসজিদের নিচে ঠিক কোন স্থাপনা ছিল এখনো তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।'

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, কোনো ফাঁকা জায়গায় মসজিদ তৈরি হয়নি। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে এখানে শেষবার নমাজ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে বিকল্প জমি পাবে মুসলিমরা। এমনকি শর্তসাপেক্ষে হিন্দুদেরও মূল বিতর্কিত অংশ থেকে জমি দেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের একটি যৌথ বেঞ্চ অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি সম্পন্ন করেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সে সময় আর রায় ঘোষণা করা হয়নি।

যদিও তখন থেকেই গুঞ্জন উঠছিল আগামী ১৭ নভেম্বর অবসরে যেতে পারেন রঞ্জন গগৈ। যে কারণে এর আগেই যে কোনো দিন ঐতিহাসিক এই মামলাটির রায় হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। মূলত এসব বিষয় বিবেচনা করেই অতি স্পর্শকাতর মামলার রায় ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে প্রশাসন।

এ দিকে গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে প্রধান বিচারপতি গগৈ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গেও তার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত সেই বৈঠকেই গগৈ অন্য বিচারকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি অযোধ্যা মামলায় রায় ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন :- অযোধ্যার রায় ঘোষণা নিয়ে যা বললেন মোদী

অপর দিকে রায় ঘোষণার পর উত্তরপ্রদেশসহ গোটা ভারতে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য এরই মধ্যে গোটা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সব রাজ্যে বিশেষ সতর্কতাও জারি করতে বলা হয়েছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড