• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিশুতোষ ছড়া : ন্যাড়া বেল তলা যায় ক’বার

  সুকুমার রায়

০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:১৪
কবিতা
ছবি : প্রতীকী

রোদে রাঙা ইটের পাঁজা তার উপরে বসল রাজা- ঠোঙা ভরা বাদাম ভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না। গায়ে আটা গরম জামা পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা; রাজা বলে ‘বৃষ্টি নামা- নইলে কিচ্ছু মিলছে না।’ থাকে সারা দুপুর ধ’রে ব’সে ব’সে চুপটি ক’রে, হাঁড়িপানা মুখটি ক’রে আঁকড়ে ধ’রে শ্লেটটুকু ; ঘেমে ঘেমে উঠছে ভিজে ভ্যাবাচ্যাকা একলা নিজে হিজিবিজি লিখছে কি যে বুঝ্‌ছে না কেউ একটুকু । ঝাঁঝাঁ রোদ আকাশ জুড়ে, মাথাটার ঝাঁঝরা ফুঁড়ে, মগজেতে নাচ্‌ছে ঘুরে রক্তগুলো ঝনর ঝন ; ঠাঠা-পড়া দুপুর দিনে, রাজা বলে, ‘আর বাচিনে, ছুটে আন বরফ কিনে- করছে কেমন গা ছনছন।’ সবে বলে, ‘হায় কি হ্ল! রাজা বুঝি ভেবেই মোলো! ওগো রাজা মুখটি খোলো- কওনা ইহার কারণ কি? রাঙামুখ পানসে যেন তেলে ভাজা আমসি হেন, রাজা এত ঘামসে কেন- শুনতে মোদের বারণ কি? রাজা বলে, কেই বা শোনে যে কথাটি ঘুরছে মনে, মগজের নানান কোণে- আনছি টেনে বাইরে তায়, সে কথাটি বলছি শোন, যতই ভাব যতই গোন, নাহি তার জবাব কোন কুলকিনারা নাই রে হায়। লেখা আছে পুঁথির পাতে, ন্যাড়া যায় বেলতলাতে, নাহি কোনো সন্ধ তাতে- কিন্তু প্রশ্ন ক’বার যায়?' এ কথাটা এদ্দিনেও পারে নিকো বুঝতে কেও, লিখে নিকো পুস্তকেও, দিচ্ছে না কেউ জবাব তায় । লাখোবার যায় যদি সে যাওয়া তার ঠেকায় কিসে? ভেবে তাই পাইনে দিশে নাই কি কিচ্ছু উপায় তার? একথাটা যেমনি বলা রোগা এক ভিস্তিওলা ঢিপ ক’রে বাড়িয়ে গলা প্রণাম করল দুপায় তার । হেসে বলে, আজ্ঞে সে কি? এতে আর গোল হবে কি? নেড়াকে তো নিত্য দেখি আপন চোখে পরিষ্কার- আমাদেরি বেলতলা যে নেড়া সেথা খেলতে আসে হরে দরে হয় ত মাসে নিদেন পক্ষে পঁচিশবার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড