স্বাস্থ্য ডেস্ক
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুরো বিশ্ব। আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনকেই এই ভাইরাস থেকে দূরে থাকার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগও গত সপ্তাহের শেষ থেকে জোরেশোরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিচ্ছে।
সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেছেন কিংবা শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করছেন এমন ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। এর মানে হলো, ১৪ দিন অন্য সবার থেকে আলাদা থাকা এবং ঘরের ভেতর থাকা। এই সময়ে তাদের কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (১৬ মার্চ) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়-
১। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিকে বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। অন্তত ২ ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।
২। আলাদা বিছানায় ঘুমাতে হবে। এমন ভাবে থাকতে হবে যেখানে সহজেই আলো বাতাস প্রবেশ করে।
৩। সম্ভব হলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করতে হবে। একই গোসলখানা ব্যবহার করলে সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। তবে শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরতে হবে এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৫। শিশু কোয়ারেন্টাইনে থাকলে তাকে সচেতনতার বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্রিফ করতে হবে। শিশুর খেলনা খেলার আগে ও পরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬। কোয়ারেন্টাইনে পশুপাখি রাখা যাবে না।
৭। বাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে একই ঘরে অবস্থান করলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৮। মাস্ক পরিধান করা অবস্থান হাত দিয়ে ধরা যাবে না। সর্দি, থুতু, কাশি ইত্যাদির সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে খুলে নতুন মাস্ক পরতে হবে।
৯। ব্যবহার করা মাস্ক ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলে সাবান–পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
১০। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির থালা, গ্লাস, কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর সব আলাদা রাখতে হবে। এসব ব্যবহারের পর সাবান-পানির সাহায্যে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
১১। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির মাস্ক, গ্লাভস, টিস্যুসহ সব আবর্জনা ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে। এসব আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
১২। এ সময় খাওয়া-দাওয়া, হালকা ব্যায়াম করতে পারবেন। সম্ভব হলে ঘরে বসে অফিসের কাজও করা যাবে।
১৩। পরিবারের যে সদস্যের দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার ইত্যাদি নেই, এমন একজন ব্যক্তি পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত হতে পারেন। তবে তিনি ওই ঘরের কিছু খালি হাতে স্পর্শ করতে পারবেন না।
১৪। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অবশ্যই ভালো করে দুই হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে।
১৫। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ফোন, ইন্টারনেটে যোগাযোগ রাখা যাবে।
১৬। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির কোনো উপসর্গ যেমন ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, কাশি, সর্দি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দেখা দিলে অতি দ্রুত আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় জেনে নিতে হবে।
নিজে সচেতন থাকুন এবং চারপাশের মানুষকে সচেতন থাকতে বলুন। জনবহুল এলাকা আপাতত পরিহার করুন এবং ঘরের অভ্যন্তরে থাকার চেষ্টা করুন।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড