• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হুট করেই শরীরের কোনো অংশ কুঁচকে গেছে?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১২ জুলাই ২০১৯, ১১:২২
সেলুলাইট
সেলুলাইটের কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়; (ছবি- ইন্টারনেট)

গালে একটা ছোট্ট টোল মিষ্টি দেখাতেই পারে। কিন্তু এই একই জিনিস যখন শরীরের অন্যান্য অংশে অনেক বড় আকারে দেখা যায়, তখন সেটাকে বলা হয় সেলুলাইট। সেলুলাইটকে এডেম্যাটোস ফাইব্রোসক্লেরোটিক প্যানিনকালোপাথি নামেও ডাকা হয়।

সাধারণত, যখন আমাদের ত্বকের ঠিক নিচের অবস্থিত টিস্যুর মধ্য দিয়ে ফ্যাট প্রবেশ করে এবং প্রবাহিত হয়, তখন ত্বকে তারতম্য দেখা দেয়। ত্বক উঁচুনিচু হয়ে পড়ে। গর্ত দেখা যায়। মনে হয় যেন ত্বক কুচকে গিয়েছে। আর এই পুরো ব্যাপারটিকেই সেলুলাইট নামে ডাকা হয়।

নারীদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও, শিশু ও পুরুষদেরও সেলুলাইট হতে পারে। লিঙ্গ, বংশ, হরমোন, মেকআপ, শরীরের প্রাকৃতিক ফ্যাটের পরিমাণ, ত্বকের ধরন ও প্রদাহ ইত্যাদি ভেদে সেলুলাইট তৈরি হয়।

সাধারণত, সেলুলাইট মোটেও ক্ষতিকর কোনো ব্যাপার নয়। এটি শুধু আপনার সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করতে পারে। অন্যথায়, সেলুলাইট শরীরের ওপরে বাজে কোনো প্রভাব রাখে না। তাই এ নিয়ে চিন্তার কোনো ব্যাপার নেই। তবে, যদি আপনি আপনার সৌন্দর্যের জন্যই সেলুলাইট সরিয়ে ফেলতে চান, তাহলে নিচের কাজগুলো করতে পারেন-

১। ঔষধি পণ্য-

শুরুতেই কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আপনি কিছু প্রসাধনীর সাহায্য নিতে পারেন। সেলুলাইট খানিকটা কমিয়ে দিতে ক্যাফেইনযুক্ত ক্রিম বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে স্বল্প সময়ের জন্য ত্বকের কোষকে পানিশূন্য করে দিয়ে এই কাজটি করে থাকে এই ক্রিম।

আর যদি আপনি দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান চান, তাহলে রেটিনয়েড ব্যবহার করতে পারেন। এটি মাসের পর মাস ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আপনার ত্বকে পরিবর্তন আসবে এবং সেটা স্থায়ী হবে। আর এছাড়াও সেলফ-ট্যানার ব্যবহার করে এবং ছায়ার মধ্যে থেকে ত্বকের সেলুলাইটের পরিমাণ আপনি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারেন।

২। সার্জারি-

ধারালো কোনো সুঁই বা যন্ত্রের মাধ্যমে ত্বকের সাথে সংযুক্ত ফাইব্রোটিক টিস্যু সরিয়ে নেওয়া বা ঠিক করার মাধ্যমে সেলুলাইট কিছুটা হলেও সারিয়ে তোলা যেতে পারে। এই সার্জারি করিয়েছেন এমন ২৫ জনের মধ্যে শতকরা ৯৫.৬ শতাংশই সার্জারি পরবর্তী ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। এই সার্জারির ফলে অবশ্য ব্যথা, ফুলে যাওয়া, ত্বকে লালচেভাব দেখা দেওয়া, সংক্রমণ ইত্যাদির সম্ভাবনা থেকে যায়। সার্জারির ফলাফল সাধারণয় তিন বছরব্যাপী থাকে।

৩। এনার্জি ট্রিটমেন্ট-

নানারকম শক্তি, এই যেমন- শব্দের শক্তি, লেজার ইত্যাদি ব্যবহার করেও ত্বক থেকে সেলুলাইট দূর করা সম্ভব। এতে করে ত্বক ভারী হয়ে যায় এবং সেসব ফাইব্রোস ব্যান্ড ভেঙে ফেলে যেগুলো সেলুলাইট তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া আছে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, তাপমাত্রা, ভ্যাকুয়াম সাকশনিং ইত্যাদি।

এগুলোর মধ্য থেকেও যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন আপনি। এগুলোর কোনোটাই হয়তো আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী কোনো ফলাফল দেবে না। থাকবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। তাই, এক্ষেত্রে অনেক ভেবেচিন্তে তারপর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই ঠিক হবে।

৪। অন্যান্য থেরাপি-

আপনি যদি সেলুলাইট দূর করতে থেরাপি ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে- কার্বোক্সিথেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। এখানে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস আপনার ত্বকের সেলুলাইট দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আছে- এন্ডার্মোলজি, আয়োনিথার্মি ট্রিটমেন্ট, মেসোথেরাপি, ক্রায়োলিপোলাইসিসসহ আরও বেশ কিছু পদ্ধতি। এদের মধ্যে কোনোটি আপনার জন্য ভালো হবে তা জানতে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

৫। শরীরচর্চা-

আপনি স্থুল হন বা চিকন- আপনার শরীরে সেলুলাইট তৈরি হতেই পারে। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে আপনি প্রতিনিয়িত যে কাজটি করতে পারেন সেটি হলো শরীরচর্চা করা। প্রতিদিনের শরীরচর্চা আপনার শরীরের ফ্যাট কমিয়ে দিতে সাহায্য করেবে। এতে করে এ সংক্রান্ত কোনো সমস্যার হাত থেকেও আপনি দূরে থাকতে পারবেন সহজেই।

সেলুলাইট ভয়ের কারণ নয়। তবে এটি আপনার চিন্তার কারণ হতেই পারে। তাই, সেলুলাইট থেকে পুরোপুরি না পারলেও অল্প সময়ের জন্য দূরে থাকতে উপরের উপায়গুলো অবলম্বন করুন। এতে করে আপনার চিন্তার কারণ একটু হলেও কমবে।

সূত্র- ওয়েবএমডি।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড