• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হাঁপানি বা অ্যাজমা নিয়ে যে তথ্যগুলো আপনার না জানলেই নয়!

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২১ মে ২০১৯, ১২:৩২
হাঁপানি
ছবি : প্রতীকী

বর্তমান সময়, ব্যস্ত নগরীর ধুলোবালিতে অনেকেই যে সমস্যাটির মুখোমুখি হন, সেটি হলো অ্যাজমা বা হাঁপানি। আপনার পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? তাহলে আজ আপনার কাছের মানুষগুলোর সুরক্ষার জন্য হলেও জেনে নিন হাঁপানিসংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

হাঁপানি কী?

হাঁপানি এমন একটি সমস্যা যার ফলে আমাদের নিঃশ্বাস নেওয়ার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে- নিঃশ্বাস সঠিকভাবে না নিতে পারার কারণে নানারকম সমস্যা দেখা যায়, এবং অ্যালার্জি ও নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। একটা সময় হাঁপানির কারনে মৃত্যুর পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। তবে বর্তমানে এই পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে।

হাঁপানির মূল লক্ষণগুলো কী?

হাঁপানির কারণে সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো-

নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হওয়া কফ তৈরি হওয়া বুকে চাপ অনুভব করা নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা ক্লান্ত এবশি থাকে, খেলাধুলায় অনীহা থাকে, খেতে চায় না, তাদের মধ্যে বমিভাব দেখা দেয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তবে হাঁপানি কতটা বাজে অবস্থায় আছে সেটা নির্ভর করে সেটার প্রতি কতটা যত্ন নেওয়া হচ্ছে তার উপরে। নিয়মিত যত্ন নিলে এবং ওষুধ সেবন করলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

হাঁপানি কেন হয়?

নানারকম কারণেই হাঁপানি তৈরি হয়ে পারে। সাধারণত-

ধুলোবালি ফুলের রেণু পোষা প্রাণীর লোম ধোঁয়া ভাইরাল সংক্রমণ আবহাওয়া পরিবর্তন নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণে হাঁপানির মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।

চিকিৎসকেরা অ্যাজমা পরীক্ষা করেন কীভাবে?

আপনি যদি হাঁপানিসংক্রান্ত লক্ষণগুলো নিজের মধ্যে দেখতে পান, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। তিনি কিছু পরীক্ষা করার মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলতে পারবেন। সাধারণত এক্ষেত্রে কতটুকু বাতাস নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় নির্গত হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে চিকিৎসকেরা হাঁপানি আছে নাকি নেই সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন।

হাঁপানির ওষুধগুলো কী?

হাঁপানির ক্ষেত্রে মোট দুই রকমের ওষুধ পাওয়া যায়। প্রথমটি হাঁপানি হলে সেটাকে কমিয়ে দেয়। আর অন্যটি হাঁপানি হওয়াকে থামায়। প্রথম ওষুধগুলো সেবন করলে আপনি দ্রুত হাঁপানির সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন। তবে এই পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখে না।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় ধরণের ওষুধ আপনার পরবর্তী হাঁপানি হওয়ার ব্যাপারটিকে থামিয়ে দেবে। ফলে হাঁপানি মাথাচড়া দিয়ে ওঠারই কোনো সুযোগ পাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একটু আলাদা। কারণ, তারা অনেক ওষুধ, যেমন- ইনহেলার নেওয়ার মতো অবস্থায় থাকে না। অনেকসময় এই ওষুধ সেবনের পদ্ধতিকে বদলে নেওয়া হয়।

হাঁপানিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে কী করতে হবে?

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রাত্যাহিক জীবনে আপনাকে বেশ কিছু ব্যাপার মেনে চলতে হবে। সেগুলো হলো-

১। চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত দেখা করা। তার পরামর্শ অনুসারে খাবার ও ওষুধ গ্রহন করা। ২। কোন কাজগুলো করলে আপনার অ্যাজমা তৈরি হচ্ছে সেটা খেয়াল করা। এতে করে পরবর্তীতে এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকা সহজ হবে। ৩। চিকিৎসকের কাছ থেকে যে অ্যাকশন প্ল্যান নিয়েছেন সেটাকে পুরোপুরি পালন করা। ৪। সঠিক পরিমাণে এবং সঠিকভাবে ইনহেলার গ্রহন করা।

হাঁপানি কোনো ভয় পাওয়ার মতো অসুখ নয়। একটু সচেতন থাকলেই এই সমস্যাটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই, চিন্তা ছেড়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহন করে সুস্থ থাকুন।

মূল লেখক- ডক্টর রেঙ্গানাথান কান্নান, পার্কওয়ে শেন্টান।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড