সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
খাবার কতটা খাচ্ছেন, কম খাচ্ছেন, নাকি বেশি খাচ্ছেন- এই ব্যাপারগুলোর উপরে নির্ভর করে অনেকসময় আমাদের শরীরের রক্তচাপ বাড়ে এবং কমে যায়। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে এই রমজান মাসে সুস্থ থাকতে আপনাকে বাড়তি কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। চলুন, এ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
কম লবণ খান-
আপনার যদি হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকে, তাহলে কিছু জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রাথমিকভাবে, লবণ খাওয়া বন্ধ করুন। কারণ, লবণ রক্তে মিশে রক্তচাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে।
অনেকেই ভাবেন যে, রান্না করা লবণ খেলে খুব একটা সমস্যা হয় না। বাস্তবে, কাঁচা লবণ এবং রান্না করা লবণের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন একজন মানুষ রান্নায় লবন গ্রহণ করলেও সেটি তার জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। চেষ্টা করুন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে রমজান মাসে লবণযুক্ত খাবার কম খাওয়াতে।
ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খান-
ইফতারিতে চেষ্টা করুন আঁশযুক্ত খাবার ও ফল বেশি করে খাওয়ার। এছাড়াও, অন্যান্য সময় এই রকমের খাবারগুলো গ্রহণ করুন। ফলে বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। আর এটা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
ভাজাপোড়া খাবার খাবেন না-
ভাজাপোড়া খাবার শরীরের রক্তচাপ অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। সেক্ষেত্রে, যদি আপনি সিদ্ধ করা খাবার বা ফল ও পানি বেশি করে গ্রহণ করেন, সেটি আপনার শরীরের জন্য বেশি সুফল বয়ে নিয়ে আসবে। তাই, ইফতারিতে ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এছাড়া, ইফতারি ও সেহরিতে খুব বেশি খাবার না খেয়ে বেশি বেশি তরল গ্রহণ করুন।
ঘরোয়া খাবার বেশি খান-
অনেকেই বাইরের খাবার দিয়ে ইফতারি করেন। বাইরের এসব খাবারে লবণ বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, বাজারের সস ও আচারেও লবণ বেশি থাকে। তাই, বাইরের খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে এমন খাবার থেকেও দূরে থাকুন।
খাবারে রাখুন দই বা দুধ-
অনেকে দই বা দুধ খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের কারনে এই খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে, চেষ্টা করতে পারেন লো ফ্যাট দুধ এবং লো ফ্যাট দই খাওয়ার। এতে করে আপনার রক্তচাপ ঠিক থাকবে এবং পেট বেশ ভালো থাকবে।
এছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করার দরকার পড়ে অনেকের। রোজার সময় খাবারের সাথে সাথে এই ওষুধ গ্রহণের সময়টাও বদলে নিন। এজন্য রোজা শুরু করার আগেই চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। এতে করে আপনার এবারের রোজাটা রক্তচাপ বাড়ার চিন্তা ছাড়াই কেটে যাবে।
অন্যদিকে, নিন্ম রক্তচাপ হলে সেক্ষেত্রে, প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। একই স্থানে অনেকটা সময় শুয়ে বা বসে থাকা থেকে বিরত থাকুন। আর যদি সেটা করেও থাকেন, তাহলে সেই অবস্থান থেকে ওঠার সময় ধীরে ধীরে উঠুন। ইফতারির পর গ্লুকোজ বা স্যালাইন পান করতে পারেন।
এই সব উপায়গুলোই কার্যকর কোনো না কোনোভাবে। তবে সবচাইতে ভালো হয়, যদি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে আপনি তার পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মগুলো মেনে চলেন। এতে করে বাড়তি কোনো শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
সূত্র : এনসিবিআই
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড