স্বাস্থ্য-কথা ডেস্ক
অসুখ কখনও বলে আসে না। হুট করে অসুস্থ হয়ে গেলে হাতের কাছে হয়ত হাসপাতাল বা চিকিৎসক নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাতের কাছে কিছু ওষুধ রাখা যেতে পারে। এতে নিজে অসুস্থ হলে তো বটেই আশেপাশের কেউ অসুস্থ হলে তাকেও সাহায্য করা যায়।
জেনে নিন তাহলে কোন কোন ওষুধগুলো হাতের কাছে রাখবেন-
প্যারাসিটামল:
জ্বরের তাপমাত্রা এবং ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল খুব কার্যকর।
বড়দের ক্ষেত্রে খাবার নিয়ম-
১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর হলে দিনে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে খাবার নিয়ম-
১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর হলে এক চা চামচ প্যারাসিটামল সিরাপ দিনে তিন থেকে চারবার সেবন করানো যেতে পারে।
এছাড়াও ওষুধের পাশাপাশি শিশুর শরীর, হাত-পা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুছে দিলে বেশি জ্বর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
খাওয়ার স্যালাইন:
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানাজনিত পানিশূন্যতায় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং লবণ বের হয়ে যায়। স্যালাইন খেলে সেই শূন্যতা পূরণ হয়।
শিশুর ক্ষেত্রে খাওয়ানোর নিয়ম-
ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু যদি শুধু মায়ের বুকের দুধ পান করে সেক্ষেত্রে মায়ের উচিত ঘন ঘন এবং বেশি সময় ধরে বুকের দুধ পান করানো। এক্ষেত্রে শিশুর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী বিশুদ্ধ ফুটানো ঠাণ্ডা পানি এবং খাওয়ার স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।
৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুকে তার প্রয়োজনীয় সকল খাবারের পাশাপাশি স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
বড়দের ক্ষেত্রে-
প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর কমপক্ষে আধালিটার বা চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে। লবণ-গুড়ের শরবতও খাওয়া যেতে পারে। এটি ছয় ঘণ্টা এবং প্যাকেটজাত খাওয়ার স্যালাইন একবার তৈরির পর ১২ ঘণ্টা ভালো থাকে।
অ্যান্টাসিড ও এসিডিটির ওষুধ:
অতিরিক্ত এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যার জন্য প্রাপ্তবয়স্করা দু’টি ট্যাবলেট (চুষে খাওয়ার জন্য) অথবা দুই চা চামচ এন্টাসিড সাসপেনশন দিনে তিনবার খালি পেটে বা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে খেতে পারেন।
বমির ওষুধ:
দীর্ঘ যাত্রায় বমির ভাব বা বমি হতে পারে। এক্ষেত্রে যাত্রার আগে ডমপেরিডন (১০ মিলিগ্রাম) ট্যাবলেট প্রাপ্তবয়স্করা খালি পেটে খেয়ে নিতে পারেন।
অনেক সময় এসিডিটির জন্যও বমি হতে পারে। তাই যাত্রাপথে বমির উদ্রেক হলে এন্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খেতে পারেন।
অ্যান্টি-হিস্টামিন বা অ্যালার্জির ওষুধ:
অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, ত্বকে চুলকানি, মৌমাছি বা পোকার কামড় ইত্যাদি কারণে হিস্টামিন জাতীয় সিরাপ বা ট্যাবলেট যেমন- এলাট্রল, প্রেটিন, হিস্টাসিন, ফেক্সোফেনাডিন ইত্যাদি সাথে রাখা উচিত।
মেট্রোনিডাজল:
যাদের বদহজম হয়, তারা ৪০০ মিলিগ্রাম মেট্রোনিডাজল ট্যাবলেট দিনে তিনবার খেতে পারেন।
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম:
শরীরে যে কোনো ধরনের কাটা, পোকামাকড়ের কামড়, পুড়ে যাওয়া ইত্যাদির জন্য ডেটল, স্যাভলন জাতীয় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম সঙ্গে রাখবেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড